ছবি : সংগৃহীত
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পর নিজ কাজে ফিরে যাবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
সাময়িকীটি প্রতিবছরের মতোই ২০২৪ সালেও ‘বর্ষসেরা দেশ’ নির্বাচন করেছে। এবার বিশ্বে ‘বর্ষসেরা দেশ’ নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়।
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনের নোবেলজয়ী ইউনূস কী করবেন, সেই বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে ইউনূস বলেন, ‘বাস্তব কথা হচ্ছে আমার চাকরি ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। জোর করে আমাকে এই কাজে আনা হয়েছে। আমি নিজের কাজগুলো উপভোগ করছিলাম। এই জন্য প্যারিসে ছিলাম। সেখান থেকে আমাকে টেনে আনা হয়েছে অন্য কিছু করার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার নিয়মিত কাজে ফিরতে পারলে খুশি হবো। যা আমি সারা জীবন ধরে করেছি এবং তরুণরাও এটিকে ভালোবাসে। সুতরাং আমি আমার সেই দলে বা কার্যক্রমে ফিরে যাব যেটা আমি সারা বিশ্বে তৈরি করেছি।’
সাক্ষাৎকারে বর্তমান বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়। জঙ্গিবাদের ঝুঁকি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দেবে না; এটি আমি আশ্বস্ত করছি। তরুণরা ধর্ম নিয়ে নিরপেক্ষ। তারা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়। এই তরুণরা পুরো বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারে। এটা শুধু এক দেশ বা আরেকটি দেশ পরিবর্তনের বিষয় না। বাংলাদেশ যা করেছে এটি একটি উদাহরণ যে তরুণরা কত শক্তিশালী।’
এই নোবেলজয়ী বলেন, ‘আমাদের উচিত তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। বিশেষ করে তরুণীদের ওপর। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের উচিত তরুণ-তরুণীদের ওপর মনোযোগ দেওয়া যাতে তারা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। তাদের সুযোগ এসেছে। তাদের সক্ষমতাও রয়েছে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া তিন তরুণ আমার ক্যাবিনেটে আছেন। তারা দুর্দান্ত কাজ করছে। তারা সক্ষম। এই তরুণরা গত শতাব্দীর তরুণ নয়। তারা এই শতাব্দীর তরুণ। তারা অন্যান্যদের মতোই সক্ষম।’
বাংলাবার্তা/এমআর