ফাইল ফটো
জমির দ্বন্দ্বে ‘হয়রানিমূলক’ মামলায় দিশেহারা মাকসুদা বেগম ও তার পরিবার। তাদের বাড়ি গাজীপুর সদরে হলেও মামলায় হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। এসব মামলায় মাকসুদার পরিবারের কয়েকজন বিভিন্ন মেয়াদে জেলা খেটেছেন; একজন এখনো জেলে রয়েছেন। এই বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে প্রতিকার চেয়েছে পরিবারটি।
গত ১ ডিসেম্বর (রবিবার) পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ডিআইজি কনফিডেন্সিয়াল, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স বরাবর দরখাস্ত করেন মাকসুদা বেগম। এতে তিনি তার পরিবারের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ‘হয়রানিমূলক’ মামলার অভিযোগ আনেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সদরের মিরাশপাড়ার আবদুর রশিদ ও নুরজাহানের কন্যা মাকসুদা। তার স্বামীর সৎভাই (বৈপিত্রিয়) ইতালি সুমন বেপারী দেশের বাইরে থেকে বিভিন্ন চক্রের মাধ্যমে মামলাগুলো করাচ্ছে। এরই মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা, চাপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা, রাজধানীর আশুলিয়া থানা, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, হয়তো বিভিন্ন থানায় আরও মামলা হয়েছে।
মাকসুদা বেগম বলেন, ‘দায়েরকৃত মামলায় আমার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন মেয়াদে জেল হাজতে ছিল। আমার ছেলে হামিদুল হাসান পাপেল এক মাসের অধিক সময় যাবৎ কারাগারে আটক আছে। আমার স্বামীর বড় ভাইয়ের ছেলে আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ থানার মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেছেন। ওই প্রতিবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন, ইতালি প্রবাসী সুমন বেপারী মিথ্যা মামলা দায়েরের মূল হোতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসব মামলার বাদি ও আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারি সুমন ও তার লোকেরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন পেইজ ও গ্রুপ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় মানব পাচারের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের খুজে বের করেন। এরপর তাদের সাথে ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটস্যাপ ও ইমোতে যোগোযোগ করে ভুক্তভুগীদের মাধ্যমে তাদের ঘটনা নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে সুমন তাদের চক্রের মাধ্যমে মামলার এজাহার তৈরি করে এজাহারে আমার পরিবারের সদস্যদের নাম যুক্ত করে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা দায়ের করে আসছে।’
‘এসব চক্র দীর্ঘদিন ধরে অনেক মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে চাদা আদায় করে আসছে। এই চক্রের মূল হোতা ইতালী প্রবাসী সুমন বেপারী পুলিশ হেডকোয়াটারে ফোন করে নিজেকে প্রবাসি কল্যান হেল্প ডেস্ক কর্মকর্তার মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মামলাগুলো আমলে নেয়ার অবৈধ তদারকি করে থাকে। এই চক্রটি ইতিমধ্যে আমার পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা দায়ের করেছে।’