ফটো কোলাজ: বাংলাবার্তা
চাঁদপুরে মেঘনা নদীতে জাহাজে সাত খুনের ঘটনা তদন্তের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এমভি আল বাখেরা জাহাজে প্রথমে একজনকে খুন করা হয়। পরে আরও ছয়জনকে। প্রথম খুন দেখে ফেলায় পরের ছয় খুনের ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল মুনীম ফেরদৌস এই তথ্য দিয়েছেন।
এর আগে সাত খুনের ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এতে আট থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, জাহাজটিতে কোনো ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। জাহাজে থাকা আকাশ মণ্ডল ইরফান সাত খুনের মূলহোতা।
কর্নেল মুনীম ফেরদৌসের ভাষ্যমতে, দীর্ঘদিন ধরে বেতন ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মণ্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।
নিহতরা হলেন- জাহাজের মাস্টার ফরিদপুর জোয়াইর উপজেলার মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া (৬৫), তার ভাগনে জাহাজের লস্কর মোহাম্মদ শেখ সবুজ (৩৫), সুকানী নড়াইল লোহাগড়া এলাকার মোহাম্মদ আমিনুল মুন্সী (৪০), মাগুরার মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদ মাজেদুল ইসলাম (১৭ বয়স, লস্কর), লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬), নড়াইল লোহাগড়ার জাহাজের ইঞ্জিনচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন মোল্লা (৪০) ও মুন্সিগঞ্জ শ্রীনগর থানার জাহাজের বাবুর্চি রানা (২০)।
র্যাব জানায়, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনো প্রকার বেতন ভাতা দিতেন না এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতেন। এসবের ক্ষোভ থেকে এমন কাজ করেন ইরফান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইরফানের দেওয়া তথ্য মতে র্যাব আরও দাবি করে, জাহাজের বাজার করার জন্য ইরফান পাবনার একটি বাজারে নেমেছিল। সেখান থেকে ১৮ ডিসেম্বর তিনি ৩ পাতা ঘুমের ওষুধ কেনেন। আর যে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সেটি আগেই জাহাজেই ছিল। কুড়ালটি জাহাজের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছিল।
র্যাব আরও জানায়, মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার সময় অন্যরা দেখে ফেলতে পারে এতে পালাতেও সমস্যা হবে এমন ভয় থেকে ইরফান তাদেরকেও হত্যা করেন।
বাংলাবার্তা/এমআর