
ফাইল ছবি
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস আজ বৃহস্পতিবার ৪ দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আমন্ত্রণে এই সফরটি হচ্ছে, যার প্রধান উদ্দেশ্য রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করা। যদিও রোহিঙ্গা ইস্যু এই সফরের মূল এজেন্ডা, তবে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গুতেরেসের সফরে রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার সংকোচ, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন, জাতিগত নিধন ও গণহত্যার বিচার নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে চলমান প্রক্রিয়া এবং ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন সহ বেশ কিছু বিষয় প্রাধান্য পাবে।
জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস তার সফরে বৈচিত্র্যময় সমাজে বিশ্বাসী হিসেবে পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখবেন এবং কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন। এটি তার মানবিক সহানুভূতি এবং বৈশ্বিক শরণার্থী সংকটের প্রতি গভীর মনোযোগের প্রমাণ।
এছাড়া, গুতেরেস বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলতে পারেন। বিশেষত, আগামী নির্বাচন এবং সুষ্ঠু গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক মহলের প্রত্যাশা বাড়ছে। তার সফরের দ্বিতীয় দিনে তিনি সিভিল সোসাইটির সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেবেন। এই বৈঠকে গুতেরেস বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার, নির্বাচন প্রক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা প্রদান করতে পারেন।
এদিকে, জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন চলতি বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে গণ-অভ্যুত্থানে নিহত প্রায় ১৪০০ জনের তথ্য দিয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব একটি আলোচনার বিষয়ও উত্থাপন করতে পারেন।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, গুতেরেস এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সফরের দ্বিতীয় দিন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করবেন এবং রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মানবিক সহায়তা বিষয়ে আলোচনা করবেন। তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য একটি লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করবেন এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখবেন।
এই সফর রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা সংগ্রহ এবং তাদের মানবিক চাহিদা পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। জাতিসংঘ মহাসচিবের বাংলাদেশ সফর রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করার ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরের একাধিক কর্মসূচির মধ্যে ১৫ মার্চ ঢাকায় একটি সুশীল সমাজ বৈঠক, সংস্কার কমিশনের সঙ্গে আলোচনা এবং প্রধান উপদেষ্টার আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ