
সংগৃহীত
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নিপীড়নকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মামলা করেছিল গাম্বিয়া। এই মামলায় গাম্বিয়ার পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১২ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মামাদু তাঙ্গারা। আলোচনায় রোহিঙ্গা মামলার অগ্রগতি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুই নেতা মতবিনিময় করেন।
গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট মামলার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন জানিয়ে তাঙ্গারা বলেন— “এই মামলাটি নিপীড়িত রোহিঙ্গা মুসলমানদের ন্যায়বিচারের জন্য এবং এটি এখনও চলমান।”
গাম্বিয়ার অবিচল প্রচেষ্টা ও অঙ্গীকারের প্রশংসা করে ড. ইউনূস বলেন— “আমরা চাই এই মামলায় সফল হতে। আমরা আপনার সমর্থন চাই। এটি আমাদের জন্য একটি বড় সাহায্য।”
বৈঠকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌথভাবে কাজ করতে একমত হন দুই নেতা। পাশাপাশি আফ্রিকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ক্ষুদ্রঋণের সম্ভাবনা এবং সহিংসতা-প্রবণ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার কৌশল নিয়েও আলোচনা করেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান এবং বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ।
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের দাবিতে গাম্বিয়া মামলা করে। আফ্রিকার এই দেশটি ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে মামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মামলাটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।
বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার মধ্যে এই সহযোগিতা রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে আরও শক্তিশালী করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ