
ফাইল ছবি
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় আন্তঃনগর ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে। ঈদযাত্রার চতুর্থ দিনে টিকিটের ব্যাপক চাহিদার কারণে অনলাইনে মাত্র ৩০ মিনিটেই দেড় কোটিরও বেশি হিট রেকর্ড করা হয়েছে।
রেলওয়ের ই-টিকিটিং ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া টিকিট বিক্রির প্রথম ৩০ মিনিটেই দেশজুড়ে ৩০ হাজার ৮৩৪টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর জন্য বিক্রি হয়েছে ১৩ হাজার ৩৫৩টি টিকিট এবং ঢাকাসহ সারাদেশের জন্য বিক্রি হয়েছে ১৭ হাজার ৪৮১টি।
অতিরিক্ত চাপ, মিলছে না কাঙ্ক্ষিত টিকিট
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৭ মার্চের জন্য ঢাকা থেকে ট্রেনের মোট আসন ৩৩ হাজার ১৯৯টি এবং সারাদেশে এক লাখ ৭৩ হাজার ২৭৯টি আসন বরাদ্দ ছিল। কিন্তু চাহিদার তুলনায় এই সংখ্যা একেবারেই কম।
টিকিট পেতে অনেকে অনলাইনে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী অভিযোগ করেছেন, ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে গিয়ে ‘সার্ভার ব্যস্ত’ বা ‘টিকিট বিক্রি শেষ’ বার্তা পাচ্ছেন।
রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, "প্রথম ৩০ মিনিটেই দেড় কোটি অনুরোধ প্রসেস করতে হয়েছে। ফলে অনেকেই টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি। তবে ধৈর্য ধরে চেষ্টা করলে অনেকেরই টিকিট পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।"
অনলাইন টিকিট বিক্রির চ্যালেঞ্জ
এ বছর ঈদযাত্রায় ১০০% টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে কালোবাজারি বন্ধ করা যায়। তবে এতো বিশালসংখ্যক মানুষ একই সময়ে টিকিট কেনার চেষ্টা করায় সার্ভারে চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
অনেকে বলছেন, আগে থেকে পরিকল্পনা করে বিক্রির ব্যবস্থা করলে এতটা সমস্যা হতো না।
প্রতিবছরের মতো এবারও ট্রেনের টিকিটের জন্য হাহাকার লেগে থাকলেও যাত্রীরা শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশায় রয়েছেন, ঈদযাত্রায় তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে রেলপথই হবে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম।
বাংলাবার্তা/এমএইচ