
সংগৃহীত
একমাত্র ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সংঘটিত গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের মেয়াদ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানায়, যা ১৫ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
কমিশনটির নেতৃত্বে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। পূর্বে এই কমিশনকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল, তবে সময়সীমা বাড়ানোর ফলে কমিশন ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে পারবে। এই পরিবর্তনটি অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে গঠিত তদন্ত কমিশনকে আরও সময় দেওয়া এবং তাদের কাজের পরিসর বাড়ানোর জন্য করা হয়েছে।
এই কমিশন গঠিত হওয়ার পর, ২৭ আগস্ট থেকে তারা কাজ শুরু করে। কমিশন ইতোমধ্যেই গুমের ১ হাজার ৬০০টি অভিযোগ সংগ্রহ করেছে, যার মধ্যে ৩৮৩টি অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ র্যাবের বিরুদ্ধে, যা ১৭২টি। এছাড়া ১৪০ জনের সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে।
নতুন প্রজ্ঞাপনে কমিশনের দায়িত্ব ও উদ্দেশ্যে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে, তবে পাঁচ সদস্যের সেই কমিশন পূর্বের মতই অব্যাহত থাকবে। কমিশন আইনি সংস্থাগুলির সঙ্গে মিলিতভাবে গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান এবং দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার কাজ করবে। পাশাপাশি তারা বলপূর্বক গুম প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় আইন সংস্কারেরও সুপারিশ করবে।
এছাড়া, গুমের ঘটনাগুলির মধ্যে যদি কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা বা সরকারের সহায়তায় গুম সংঘটিত হয়ে থাকে, তবে তা চিহ্নিত করা এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে।
গুম তদন্ত কমিশনের এই বাড়ানো মেয়াদ নতুন করে ঘটনার তদন্তে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান চালাতে সহায়তা করবে, যা সরকারি বাহিনীর ভূমিকা ও তাদের সঙ্গে সম্পর্কিত ঘটনার সঠিক তদন্তের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাবার্তা/এমএইচ