
ছবি: সংগৃহীত
ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রায় নৌপথে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঈদের আগে পাঁচ দিন ও পরের পাঁচ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, ঈদের সময় লঞ্চঘাটগুলোতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চার্জ আদায় বন্ধ থাকবে এবং ইজারাদার বা কুলি কোনো ধরনের হয়রানি করতে পারবে না। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, "সরকার ঈদে নৌপথের যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।" তিনি আরও জানান, ঈদের আগের পাঁচ দিন এবং পরের পাঁচ দিন বাল্কহেড চলাচল বন্ধ রাখা হবে, যাতে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।
এছাড়া, সশস্ত্র আনসার সদস্যরা দূরপাল্লার লঞ্চে নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করবে এবং নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, বাংলাদেশ নৌবাহিনী নৌপথের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহল দিবে। বিআইডব্লিউটিসি কন্ট্রোল রুম চালু করেছে, যা যাত্রীদের সার্বক্ষণিক সেবা দিতে নিয়োজিত থাকবে।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন, যাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা অতিরিক্ত যাত্রী বহনের অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হবে, এবং জরিমানা করা হবে। জেলা প্রশাসকগণকে ফেরি ও লঞ্চ ঘাটগুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ সময়, সদরঘাটসহ বিভিন্ন নৌপথে যানজট এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। ঈদযাত্রার প্রস্তুতি পরিদর্শনে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বিভিন্ন নৌ-রুটের স্পট ও ঘাটে আকস্মিক পরিদর্শনে যাবেন বলে সভায় জানান।
সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ