
ফাইল ছবি
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১৫টি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা জারি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, যানজট নিরসন, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে। মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. জিয়াউল হক মীর স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
১. সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
২. চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা মোতায়েন থাকবে। বিশেষ চেকপোস্ট বসানো হবে।
৩. রাজধানীর কূটনৈতিক অঞ্চলসহ গুরুত্বপূর্ণ শহর ও স্থাপনাগুলোতে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের টহল বাড়ানো হবে।
৪. মার্কেট ও বিপণীবিতানে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।
৫. সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে সকল মার্কেট ও গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
যানজট নিরসন ও পরিবহন নিয়ন্ত্রণ
৬. বাস, ট্রেন ও লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করা হবে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৭. যানজট নিরসনে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। ঈদের সাত দিন আগে ও পরে পুলিশ বিনা কারণে যানবাহন থামাতে পারবে না।
৮. পদ্মা ও যমুনা সেতুতে যানজট কমাতে ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন (ETC) ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
৯. যানজট প্রবণ ১৫৫টি স্থানে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে ড্রোনের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে।
১০. নির্মাণ সামগ্রী ও লম্বা যানবাহনের চলাচল ঈদের তিন দিন আগে ও পরে নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
নৌপথ ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ
১১. নদীপথে অতিরিক্ত ভাড়া ও অনিয়ম প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ঈদের পাঁচ দিন আগে ও পরে বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে।
১২. দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের টিম, রেসকিউ বোট, ডুবুরি ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে। প্রয়োজনে কোস্টগার্ডের সহযোগিতা নেওয়া হবে।
১৩. রাস্তা ও ব্রিজে দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রুত সরানোর জন্য রেকারিং ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।
কন্ট্রোল রুম ও জরুরি সেবা সংযোগ
১৪. আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে, যা ০১৩২০০০১২২৩ নম্বরে সংযুক্ত থাকবে।
১৫. জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর সঙ্গে কন্ট্রোল রুম সংযোগ স্থাপন করে সড়কের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা হবে।
এই নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকার ঈদযাত্রাকে নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক করতে কাজ করছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ