
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সহযোগিতা জোরদার করার জন্য সহায়তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি বাংলাদেশ সফর করেছেন। ২৪ ও ২৫ মার্চ, দুই দিনব্যাপী এই সফরের সময় তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর সম্পর্ক আরও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা করেন।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সফরের সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানসহ বিভিন্ন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন এবং চলমান নিরাপত্তা সহযোগিতা, বিশেষত দুর্যোগ মোকাবিলা ও জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন।
অন্যদিকে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি তার সফরকালে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন, যেখানে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং কার্যক্রমের প্রশংসা করা হয়। এছাড়া, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়। বৈঠকে বলা হয় যে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং পেশাদার সেনাবাহিনীর গুরুত্ব সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়।
এছাড়া, চলতি বছর গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিতব্য ‘টাইগার লাইটনিং’ মহড়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে অংশগ্রহণ করবে। এই মহড়া আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং যৌথ সামরিক প্রস্তুতি বৃদ্ধির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বৈঠকের সময়, বাংলাদেশের সামরিক চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরা হয় এবং সেগুলোর মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে সহায়তা প্রদান করতে পারে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের দেশের নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে, বিশেষ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রম এবং অন্যান্য সামরিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়। যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সামরিক সরঞ্জাম বাংলাদেশ কিনলে, তা সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈঠকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর সহযোগিতার ভবিষ্যতকে আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ