
ফাইল ছবি
ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটের দিকে এ ভূকম্পন টের পাওয়া যায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭। এর উৎপত্তিস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয়ে, যা ঢাকা থেকে প্রায় ৫৯৭ কিলোমিটার দূরে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (USGS) আরও জানিয়েছে, একই দিন দুপুর ১২টা ২ মিনিটে মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, যা আশপাশের দেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী এ ভূমিকম্পে লোকজন আতঙ্কিত হয়ে বাসা-বাড়ি ও অফিস থেকে রাস্তায় নেমে আসেন।
তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূমিকম্পের পর মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং অনেকে ভবনের নিরাপদ স্থানে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল তুলনামূলক দূরে হওয়ায় বাংলাদেশে এর প্রভাব সীমিত ছিল। তবে দেশটি ভূমিকম্পপ্রবণ হওয়ায় ভবিষ্যতে বড় ধরনের কম্পনের ঝুঁকি রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূমিকম্প মোকাবিলায় ভবন নির্মাণে ভূমিকম্প-সহনশীল নকশা অনুসরণ করা, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং জরুরি প্রস্তুতি রাখার প্রয়োজনীয়তা আরও একবার সামনে এনেছে এই ঘটনা।
জনসাধারণের সতর্কতা
ভূমিকম্পের সময় কীভাবে নিরাপদ থাকা যায়, সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কিছু পরামর্শ দিয়েছেন:
✔ খোলা জায়গায় অবস্থান করুন।
✔ ভবনের ভেতরে থাকলে মজবুত আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিন।
✔ লিফট ব্যবহারের চেষ্টা করবেন না।
✔ ভূমিকম্প থামার পর ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করুন এবং প্রয়োজনে উদ্ধারকারী সংস্থার সহায়তা নিন।
বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই ভূমিকম্প প্রতিরোধ ও ক্ষয়ক্ষতি কমানোর জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাবার্তা/এমএইচ