
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের জনগণের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান এবং তাকে বাংলাদেশে ফেরত না দেওয়ার বিষয়টি এখন দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।
বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিলেও ভারত তাতে কোনো সাড়া দেয়নি। উল্টো ভারতে তার অবস্থানকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি না দিলেও, প্রশ্রয় দিচ্ছে এমনটা মনে করছে বাংলাদেশের জনগণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা এক ধরনের আত্মঘাতী কূটনীতি, যা ভবিষ্যতে দুই দেশের সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. এম শহিদুজ্জামান বলেন, “ভারত এ বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে ফেলবে, কিন্তু সেটা দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ। বাস্তবে, তারা শেখ হাসিনাকে পরবর্তী নির্বাচন বা রাজনৈতিক জটিলতায় নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আর হাসিনার স্বাক্ষরিত কোনো চুক্তিকে মান্যতা দেবে না, এবং ভারতকেও একতরফা সুবিধা দেবে না।”
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ যোগাযোগসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ‘চিকেন নেক’ খ্যাত শিলিগুড়ি করিডোরে বিকল্প রুট রক্ষায় বাংলাদেশের ভূখণ্ড গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে বাংলাদেশের জন্যও ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তি, ভিসা সমস্যা, তিস্তা চুক্তি ও বাণিজ্য বৈষম্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই পরিস্থিতিতে, শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান দুই দেশের মধ্যে অবিশ্বাস ও উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করছে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ