
ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক আরোপের প্রেক্ষিতে, দেশটির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাংলাদেশ সরকার একটি কৌশল নির্ধারণ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের বিশেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রকে দুটি চিঠি পাঠানো হবে।
রোববার (৬ এপ্রিল) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকটি ছিল বিশেষ গুরুত্বসম্পন্ন, যেখানে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, প্রধান উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি রুবানা হক, ফারুক হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তপন চৌধুরী এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, দুটি চিঠির মধ্যে একটি পাঠাবেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, যেটি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেরণ করা হবে। অপর চিঠিটি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির অফিসে (ইউএসটিআর) পাঠানো হবে, যা প্রেরণ করবেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
এই চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে জানাতে চায় যে, তারা কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং কীভাবে বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের পরিবেশ আরও সহজ করা হবে। বাংলাদেশের সরকারের কাছে এই সিদ্ধান্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মার্কিন শুল্কের কারণে দেশের রপ্তানি খাতের ওপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তার অবস্থান পরিষ্কার করবে এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের উন্নতির জন্য কি পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়েও একটি কৌশল প্রস্তাব করবে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ