
ছবি: সংগৃহীত
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক ভাবনা ও প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, “মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক আদালতে সম্ভব কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে শিক্ষার্থী ও জনসাধারণের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন দমন করতে তৎকালীন সরকারের নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতর্কিতে গুলি চালায়, যেখানে প্রাণ হারান দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘের তদন্তে উঠে এসেছে এই ঘটনার ভয়াবহতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের প্রমাণ।
ডিজিটাল প্রমাণ এবং নির্দেশনার সুনির্দিষ্ট তথ্য
আন্দোলন দমন ও হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনা আদান-প্রদান হয় মোবাইল ফোন, ম্যাসেজিং অ্যাপ ও ইলেকট্রনিক চ্যানেলের মাধ্যমে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা বলেন, “ডেটা ডিলিট করার নির্দেশনা শুধু সাময়িক নয়, বরং স্থায়ীভাবে মুছে ফেলার পরিকল্পনা ছিল, যা তদন্তে উঠে এসেছে।” তিনি আরও জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে এইসব প্রমাণ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে এবং তা আইসিসিতে উপস্থাপনযোগ্য।
আইসিসি’র আগ্রহ ও কারিগরি সহায়তা
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রসিকিউশন টিম ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে সংঘটিত সহিংসতার তথ্য ও সাক্ষ্য-প্রমাণ বিশ্লেষণ করছে। প্রাথমিকভাবে ইঙ্গিত মিলেছে, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে কারিগরি সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে আইসিসি।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (ICC) ২০০২ সালে রোম সংবিধানের আওতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাংলাদেশ এর সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে জেনোসাইড, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে সহায়তা নিতে পারে।
বাংলাবার্তা/এমএইচ