
ছবি: সংগৃহীত
আগামী বছরের ঈদের আগেই ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. খলিলুর রহমান।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা আশাবাদী, আগামী বছর ঈদের আগেই ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব হবে।”
তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর আগে তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি। আরাকানে বর্তমানে যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে, তাতে এখনই প্রত্যাবাসন শুরু করা অনৈতিক হবে। “তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ফেরত পাঠানো মানে তাদের আগুনে ঠেলে দেওয়া,” বলেন ড. খলিল।
ড. খলিলুর রহমান আরও বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, যুদ্ধবিরতি এবং মানবাধিকার নিশ্চয়তা অপরিহার্য। এই প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার প্রত্যাবাসন নিয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। শান্তি প্রতিষ্ঠায় দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যেমন চলছে, তেমনি জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি অপূর্ব জাহাঙ্গীর এবং সহকারী প্রেস সেক্রেটারি নাঈম আলী।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়ে আছে, যাদের অধিকাংশই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সহিংসতার শিকার হয়ে পালিয়ে আসে। এই সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলের কাছে বারবার সহযোগিতা চেয়ে এসেছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হলে তা কেবল বাংলাদেশ নয়, গোটা অঞ্চলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে বাস্তবায়নের পথ যে এখনো অনেক চ্যালেঞ্জের, তাও স্বীকার করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাবার্তা/এমএইচ