ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনার কারণে বিশ্ববাজারে তেলের দাম ২০২১ সালের পর সর্বনিম্নে নেমে এসেছে। ব্রেন্ট ক্রুড এখন ব্যারেলপ্রতি ৬০ ডলারের ঘরে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক চীনের অর্থনীতি শ্লথ হওয়ার শঙ্কায় তেলের চাহিদা কমার পূর্বাভাসেই এই দরপতন ঘটেছে।
কিন্তু বাংলাদেশে এখনো জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। চলতি মাসেও ডিজেল ১০৫ টাকা, পেট্রোল ১২২ এবং অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যদিও সরকার গত বছর থেকে মাসভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ প্রক্রিয়া চালু করেছে।
বিপিসির চেয়ারম্যান আমিন উল আহসান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম এখনকার মতো থাকলে আগামী মাসের সমন্বয়ে প্রভাব পড়বে। তবে ডলারের উচ্চমূল্য এবং আগের মাসের আমদানি খরচ বিবেচনায় বড় ধরনের মূল্য হ্রাস এখনই সম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তেলের দামে এমন বিরল পতনের সময় বাংলাদেশ যদি অতিরিক্ত আমদানি করে মজুত করতে পারে, তাহলে ভবিষ্যতে বিপিসি যেমন লাভবান হবে, তেমনি জনগণও উপকৃত হবে। তারা দাবি করছেন, সঠিক সূত্র অনুসরণ করলে প্রতি লিটারে অন্তত ১০-১৫ টাকা কমানো সম্ভব।
সিপিডির মতে, আগের সরকারের নির্ধারিত মূল্য সূত্র মুনাফা ভিত্তিক এবং ভোক্তাবান্ধব নয়। এ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো পরিবর্তন আনবে কি না, সে বিষয়ে এখনো স্পষ্টতা নেই।
বাংলাবার্তা/এমএইচ
.png)
.png)
.png)



