
ছবি: সংগৃহীত
বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনকে সামনে রেখে সারা দেশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাজধানীর রমনা বটমূলে নববর্ষের প্রধান কেন্দ্রবিন্দুতে এক নিরাপত্তা ব্রিফিংয়ে র্যাবের মহাপরিচালক এম খ ম শহিদুর রহমান রোববার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টায় গণমাধ্যমকে জানান, দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশ নিশ্চিতে র্যাব সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, “নববর্ষকে ঘিরে র্যাব অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছে। উৎসবমুখর পরিবেশ নষ্ট করতে যাতে কোনো ধরনের অপ্রত্যাশিত ঘটনা না ঘটে, সেজন্য রাজধানীসহ সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে তথ্যভিত্তিক নজরদারি ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।”
তিনি জানান, ভিড়পূর্ণ এলাকায় নারী, শিশু এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র্যাব বিশেষ ইউনিট কাজ করছে। ইভটিজিং রোধে সাদা পোশাকের টহল দল মোতায়েন রয়েছে এবং উৎসব এলাকায় পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে নজরদারির পরিধি বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া র্যাবের সাইবার মনিটরিং ইউনিটের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে, যাতে নববর্ষের উৎসবকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব বা অপপ্রচার ছড়ানো না যায়। শহিদুর রহমান বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মনিটরিং বাড়িয়েছি। গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হলে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তা দমন করা হবে। দেশের মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে নববর্ষ উদযাপন করতে পারে, সেটিই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।”
এ সময় তিনি রমনা বটমূল থেকে চারুকলার মঙ্গল শোভাযাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চারুকলা এবং রমনা এলাকায় নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। স্নাইপার, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, কুকুর দল এবং প্যট্রোলিং ইউনিট সেখানে দায়িত্ব পালন করছে।”
সাম্প্রতিক সময়ে চারুকলায় মুখোশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখছি। ঘটনাটির পেছনে কারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় গাফিলতি করে থাকলে তার বিরুদ্ধেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি দেশের সব নাগরিককে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, “বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির এক অসাম্প্রদায়িক, বর্ণিল এবং ঐতিহ্যবাহী উৎসব। আমরা চাই এই উৎসব ঘিরে মানুষ হাসিখুশি থাকুক, নিরাপদে থাকুক। র্যাব সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে এবং থাকবে।”
বাংলাবার্তা/এমএইচ