
ছবি: সংগৃহীত
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, বাংলাদেশ একটি হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠুক—এই চেতনায় আমরা কাজ করছি। ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের নিরাপদ, সম্মানজনক এবং সম্মিলিত বসবাস নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের ‘সম্প্রীতি ভবন’ নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সেনাপ্রধান বলেন, “বাংলাদেশ একটি সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই একত্রে বসবাস করছে। এই ঐতিহ্য আমাদের গর্বের, আর এটিই আমাদের জাতিগত শক্তি। আজকের এই অনুষ্ঠান শুধুমাত্র একটি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর নয়, এটি একটি প্রতীকী সমাবেশ যেখানে আমরা সমস্ত ধর্ম-বর্ণের মানুষ একত্রিত হয়ে সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছি।”
অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন, যা সামরিক বাহিনীর সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও আন্তঃধর্মীয় সহাবস্থানের চর্চাকে দৃঢ় করে তোলে।
তিনি বলেন, “আমরা চাই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এমন একটি বাংলাদেশ পাক, যেখানে কেউ কারও ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে ভীত হবে না। আমরা একটি শক্তিশালী, শান্তিপূর্ণ ও শৃঙ্খলাপূর্ণ রাষ্ট্র গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
সেনাপ্রধান আরও জানান, পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে যা কিছু প্রয়োজন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তা করতে প্রস্তুত। “আমরা চাই পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হোক। সেখানকার জনগণ যেন নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারে।”
তিনি বলেন, “বিভিন্ন মত-পথ থাকবে, থাকবেই। কিন্তু ভিন্নমতের মানুষের প্রতি সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধা যদি আমাদের সমাজে না থাকে, তাহলে সত্যিকার অর্থে আমরা গণতান্ত্রিক ও মানবিক দেশ হয়ে উঠতে পারব না।”
বাংলাবার্তা/এমএইচ