ফাইল ছবি
জনস্বার্থে মামলার উদ্যোগ খুব ভালো কাজ বলে মনে করি। কেননা এটা করা হয় জনগণের স্বার্থে মানুষের ভালোর জন্যই কিন্তু আদালত রায় ও আদেশ দিয়ে থাকেন। মানুষ যাতে অন্যায়ভাবে সাজা না পায়, কেউ যেন বিনা দোষে হাজতবাস না করেন, কাউকে যেন নির্যাতনের শিকার হতে না হয়, কেউ যেন তার ন্যায্য সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত না হন। মোদ্দা কথা হলো এটা কিন্তু ব্যক্তি কিংবা সংগঠনের নিজের স্বার্থে নয়, দেশের ও রাষ্ট্রের স্বার্থে এ মামলাগুলো হচ্ছে। মামলাটিতে জয়ী হয়েছে। এ জন্য তাদের পরিশ্রম করতে হয়েছে। কখনো কখনো ঝুঁকিও নিতে হচ্ছে। আদালতও মনে করেন, এটা যেহেতু জনগণের স্বার্থের বিষয় তাই খুব বেশি ব্যতিক্রম না হলেই তারা আদেশ ও রায় দেন। এখানে আইনজীবীদের বড় একটা ভূমিকা রয়েছে। এই যে পুরো প্রক্রিয়াটি সত্যিকার অর্থে আমি বলব, এটি সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দারুণ ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। হ্যাঁ, জনস্বার্থের মামলাকে কেন্দ্র করে কেউ কেউ হয়তো ব্যক্তিগত চিন্তা ও গণমাধ্যমে প্রচারের আলোয় আসতে চান। কিন্তু এ প্রবণতা খুব বেশি নয়।
কথা হচ্ছে, যে কাজটা রাষ্ট্রের প্রশাসনের করার কথা সেই কাজটা আইনজীবীরা কেন করেন? এ ক্ষেত্রে মানুষের জন্য কাজ করতে রাষ্ট্রের সমস্যা আছে, এটা বলব না। কখনো কখনো রাষ্ট্র হয় তো মনে করে যে, এমনিতেই অনেক মামলা, অনেক সমস্যা। অনেক দায়িত্ব। এতকিছু করতে গেলে দায়িত্বের মধ্যে যদি আরও দায়িত্ব নেওয়া হয় তাহলে সঠিকভাবে কাজ করা যাবে কি না এটা নিয়ে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ এক ধরনের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন। আর এ কারণেই নানা সময়ে নানা কারণে উদাসিনতার পরিচয় দেওয়া হয়। আমি বলব, রাষ্ট্র যেমন মানুষের জন্য তেমনি মানুষের প্রয়োজনে প্রশাসন ও নির্বাহী বিভাগের সবসময় তৎপর থাকা উচিত।
লেখক : জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক আইনমন্ত্রী