ছবি: বাংলাবার্তা
১৯৯৮ সালের ১ ডিসেম্বর জিএমজি এয়ারলাইন্সে জুনিয়র অফিসার-মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ এ যোগদানের মাধ্যমে এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেছিলাম। এর পর দীর্ঘ পথচলায় কাজ করেছি ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এবং বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সে। এভিয়েশন সেক্টর ছাড়াও দৈনিক যায়যায়দিন, আমিন মোহাম্মদ ফাউন্ডেশনে স্বল্প সময়ে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।
বাংলাদেশের এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি বিশেষ করে প্রাইভেট এয়ারলাইন্স এর উত্থান-পতনসহ অনেক কিছু দেখার সুযোগ হয়েছে। চলার পথে অনেক কঠিন অভিজ্ঞতার ও সম্মুখীন হয়েছি। এভিয়েশন জনসংযোগে ফ্যাটাল এক্সিডেন্টের পিআর করা সবচেয়ে কঠিনতম অভিজ্ঞতা। কর্মচারী অসন্তোষ, মালিকানার দ্বন্দের জন্য এয়ারলাইন্স কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম। নানাবিধ অভিজ্ঞতা অর্জনের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছে আমার কর্মজীবন।
আমার এভিয়েশন পেশায় দীর্ঘ চলার পথে বর্তমান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর প্রতি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার প্রিয় সকল সহকর্মীদের প্রতি। আমাকে আমি করে গড়ে উঠতে যাদের সহায়তা ছাড়া সম্ভব হয়ে উঠতো না, তারা হচ্ছে আমার ভালোবাসার সকল শ্রেণির সংবাদ মাধ্যমের সাংবাদিক বন্ধুগণ। সংবাদ মাধ্যমের সাথে আমার অবিচ্ছেদ্য অংশই “জাতীয় প্রেস ক্লাব” আমাকে তাদের সহযোগী হিসেবে বরন করে নিয়েছে। যাদের অকৃত্রিম ত্যাগেই এগিয়ে যাওয়ার পথ সুগম হয়েছে- তারা হচ্ছে আমার জীবন গল্পের সঙ্গী কামরুন নাহার রুমি আর আমাদের দুই রাজকন্যা রাইসা আর হৃদিশা।
জনসংযোগ পেশাটাকে স্বমহিমায় তুলে ধরতে চাই। বাংলাদেশের এভিয়েশন এগিয়ে যাক, আপন গতিতে। চলার পথে বাংলাদেশ এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিকে কতটুকু দিতে পেরেছি আমি জানি না কিন্তু দেয়ার জন্য চেষ্টা করেছি শতভাগ। পূর্ব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সামনের দিনগুলোতে চলতে চাই।
এগিয়ে যাওয়ার গল্পে আমার সিভিল এভিয়েশন হাই স্কুল, নটরডেম কলেজ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সাস্ট ক্লাব, বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।
আপনাদের সকলের দোয়া আর ভালোবাসাই এগিয়ে যেতে চাই।
প্রফেশনে দুটি কথা সবসময় উপলব্ধি করি তা হচ্ছে, “অস্থির সময়ে স্থির থাকা” আর “রিলেশনশিপ হতে হবে মোর দ্যান প্রফেশনাল।”
লেখক: মো. কামরুল ইসলাম, জিএম-পাবলিক রিলেশনস্, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স