ছবি সংগৃহীত
ঢাকায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমিনবাজারের চেকপোস্টে যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে তাল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মুঠোফোনে বিএনপির সমাবেশের ছবি বা সংশ্লিষ্ট কিছু পেলেই আটক করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে করে সড়কের ঢাকামুখী লেনে সৃষ্টি হয়েছে যানজট।
এছাড়াও চেকপোস্ট থেকে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তাদের একটি প্রিজন ভ্যানে সকালে সাভার মডেল থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
জানা গেছে, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকামুখী বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের তল্লাশি করছে পুলিশ। এসময় পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে একদল ব্যক্তিকে যাত্রীদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসাবাদেও মোবাইল ফোনে চেক করে সন্দেহ হলেই তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে পাশের ২০ শয্যার হাসপাতালের ভেতরে নেওয়া হচ্ছে ।
পরে সেখান থেকে প্রিজন ভ্যানে সাভার মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে আটককৃতদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে পুলিশ সাংবাদিকদের সঙ্গে অপেশাদার আচরণ করতে দেখা যায়।
ফজলুল হক নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তিনি সকালে মাইক্রোবাসযোগে চন্দ্রা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ব্যবসার কাজে রওনা দেন। পরে আমিনবাজারের চেকপোস্টে পুলিশ তার গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চালায়। এসময় মোবাইলে ফেসবুকে বিএনপির সমাবেশের ছবি পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় তার মোবাইল।
সোহেল নামের অপর এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, তারা দুই জন ঢাকার একটি ট্রেনিংয়ে যোগ দেওয়ার জন্য রওনা দেন। তবে চেকপোস্টে ট্রেনিংয়ের কার্ড দেখতে চায়। এসময় তিনি কার্ড না দেখাতে পারায় তাকে আটক করা হয়।
ঢাকা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লা হিল কাফী বলেন, চেকপোস্ট নিয়মিত কার্যক্রমের একটি অংশ। এছাড়াও ঢাকায় সমাবেশে যেন কোনও অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির কেউ সুযোগ না পায় সে জন্য তল্লাশি জোরদার করা হচ্ছে।
তবে আটকের বিষয়ে তিনি বলেন, কাউকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্যই এসব করা হচ্ছে । তবে কতজনকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছুই জানাননি।