প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাতীয় পার্টির ১৬ জন সংসদ সদস্য। বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজের পর সংসদ সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তারা এই সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সংসদ কক্ষে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু উপস্থিত থাকলেও তিনি সাক্ষাৎকারী এমপিদের সঙ্গে আসেননি।
জাতীয় পার্টির সিনিয়র সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ সাক্ষাতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সংসদে গেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত দেখা-সাক্ষাৎ কথা হয়। আমরা তো মুখোমুখি বসে বিল পাসের সময় কথা বলি। সংসদের শেষ অধিবেশন উপলক্ষে আমরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে তার দফতরে গিয়েছিলাম। সংসদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। সংসদে আমাদের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন তিনি।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে উপস্থিত থাকা জাপার আরেক এমপি নাম প্রকাশ না করে জানান, মূলত আমাদের এমপি রওশন আরা মান্নানের তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়া। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তার দফতরে যে চেয়ারে বসেন, তার সামনে চারটি চেয়ারে কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, রওশন আরা মান্নান এবং রুস্তম আলী ফরাজী বসেছিলেন। আমরা সবাই দাঁড়িয়ে ছিলাম।’
এদিকে জাপার একাধিক সংসদ সদস্য জানান, প্রধানমন্ত্রী খুব ব্যস্ত ছিলেন। আমরা তার অফিস কক্ষে পাঁচ থেকে সাত মিনিট অবস্থান করেছি। এরমধ্যে কাজী ফিরোজ রশীদ, আবু হোসেন বাবলা ও রওশন আরা মান্নান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কিছু কথা বলেছেন।’
কী কথা হলো জানতে চাইলে এক এমপি জানান, প্রধানমন্ত্রী মাগরিবের নামাজ পড়ে যখন তার দফতরে আসেন, তখন আমরা সেখানে যাই। অনেক ভিড় ছিল। এখানে নির্বাচন বা রাজনৈতিক বিষয়ে কোনও আলাপ হয়নি। শুধু রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করা হয়েছে।
রওশন এরশাদ, জিএম কাদের, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, শাদ এরশাদ, মসিউর রহমান রাঙ্গা, লিয়াকত হোসেন খোকা ও রানা মোহাম্মদ সোহেল ছাড়া জাপার বাকি ১৬ এমপিই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে শাদ এরশাদ সংসদ এলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দলীয় এমপিরা দেখা করার আগেই তিনি সংসদ থেকে চলে যান। বুধবারের অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন না রওশন এরশাদ, জিএম কাদের, মসিউর রহমান রাঙ্গা, লিয়াকত হোসেন খোকা ও রানা মোহাম্মদ সোহেল।