সংগৃহীত ছবি
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার বিষয়ে বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে বৈঠকে বসবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
ইসি সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৫টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এরপরই জাতীর উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়ে তফসিল ঘোষণা করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গতকাল নির্বাচন কমিশন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেছিলেন, আগামী বুধবারের মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে।
গত ৯ নভেম্বর বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার অনুমতি নেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছিলেন, নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। দ্রুত সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। এছাড়া তফসিল ইস্যুতে প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন সিইসি।
এদিকে তফসিল ঘোষণা না করার জন্য বিরোধিতা করে আসছে বিরোধী দলগুলো। বিএনপির পক্ষ থেকে দলটির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করে নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগের দাবি জানান। তিনি বলেন, শিডিউল ঘোষণা করবেন না, করলে জাতি আপনাদের অভিশাপ দেবে। এর ফলে সংবিধানও লঙ্ঘন হবে, অন্যায়ও হবে।
ভোটারদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হয়নি উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমি নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধ করছি— আপনারা শিডিউল দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। দয়া করে পদত্যাগ করেন। এ জাতীয় কলঙ্ক আপনারা ঘাড়ে নেবেন না।
তিনি আরও বলেন, শিডিউল ঘোষণা করলেও ভোটাধিকারের আন্দোলন চলবে, বা আরও কিছু করলেও চলবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। তাই সংবিধান অনুযায়ী, বর্তমান সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি। পরবর্তী সংসদের জন্য ভোটগ্রহণ করতে হবে তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে। অর্থাৎ গত ১ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে। আর ২৯ জানুয়ারির মধ্যে রয়েছে নির্বাচন সম্পন্ন করার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। আর ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি।