রামু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আনন্দ মিছিল।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় এ তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে কক্সবাজারে আনন্দ মিছিল করেছে জেলা, পৌর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ। সন্ধ্যায় শহরের লালদিঘীর পাড় এলাকা থেকে পৃথকভাবে এই মিছিল বের করা হয়। এতে আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়। মিছিলে ‘শেখ হাসিনা, নৌকা—নৌকা’ স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক। আনন্দ মিছিল থেকেই চাওয়া হয় শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর বলেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। যা দেখে অবাক পুরো বিশ্ব। তাই দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে মানুষ আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনবে। মনে রাখতে হবে শেখ হাসিনার হাতেই নিরাপদ বাংলাদেশ।’
এদিকে ঘোষিত তফসিল প্রত্যাখান করেছে বিএনপি। সন্ধ্যা ৬টায় একচেটিয়াভাবে তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে মিছিলটি প্রধান সড়কে আসার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। পরে দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিএনপি।
জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ শাহজাহান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামীম আরা স্বপ্না বলেন, ‘সরকার আবারও একদলীয় নির্বাচন করার নীলনকশা করছে। আর ইসি হচ্ছে তার নির্ভরতার আস্থা স্থল। বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিশি রাতের ভোটে নির্বাচিত সরকারের আজ্ঞাবহ সিলেকশন। এই কমিশনের মূল উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ সরকারকে আবারও ক্ষমতায় আনা। এই কমিশন যদি নিরপেক্ষ হতো তাহলে জনমত উপেক্ষা করে তফসিল জারি করতো না। তফসিল জারি হলেই নির্বাচন হবে না, হতে দেওয়া হবে না।’
তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সকাল থেকে জেলাব্যাপী সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের একাধিক টিম।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনের নামে কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো চেষ্টা করলে শক্তভাবে মোকাবেলা করা হবে। জনগণের জানমাল রক্ষার ক্ষেত্রে কারও সাথে আপস করা হবে না।’