১২ দলীয় জোটের নেতারা (বাংলা বার্তা)
আগামী ৭ জানুয়ারি দেশে আরেকটি তামাশার নির্বাচন হতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ফকিরাপুল মোড়, নয়াপল্টন, কাকরাইল এলাকায় অসহযোগের পক্ষে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে নেতারা এসব কথা বলেন।
জোটের নেতারা বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। এই তামাশার নির্বাচনে দেশের ছোট-বড় প্রায় ৬৪টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করেনি; জনগণও অংশ গ্রহণ করবে না।
১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ‘এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ভয়ংকর খেলা শুরু করেছে। জনগণ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে খুব দ্রুত ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাবে।
রাশেদ প্রধান বলেন, ‘মনে হচ্ছে ভোট বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতারা এখন প্রাণী বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন। তারা বুঝে ফেলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট কেন্দ্রগুলোতে মানুষ নয়, ঘোড়া-গাধা-কুকুর ও ব্যাঙ যাবে। ভোট কেন্দ্রগুলোতে ‘কুত্তা তাড়ানোর’ কাজে ব্যাস্ত থাকবে আওয়ামী নেতা-কর্মীরা।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের আন্দোলনের মুখে হারিয়ে যাবে। জনগণের আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। যে কোনো সময় সরকার পদত্যাগে বাধ্য হবে।’
গণসংসযোগকালে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ এলডিপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইব্রাহিম রনক, ইসলামি ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা অধ্যক্ষ আবদুল করিম, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ প্রমুখ।
বাংলাবার্তা/এআর