বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী (ছবি: সংগৃহীত)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য অনিবার্য পতন অপেক্ষা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘অনিবার্য পতন অপেক্ষা করছে শেখ হাসিনা এবং মাফিয়াচক্রের জন্য। ৭ জানুয়ারি জনগণ শেখ হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে বিদায় করবে। দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন এগিয়ে যাবে, জনগণের বিজয় হবেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দলের ভোটবর্জন এবং ‘একমাত্র ভোটার’ শেখ হাসিনার ভাগবাটোয়ারার নির্বাচনে কে জিতবে, সে সিদ্ধান্ত ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। এটা জানার পর প্রার্থী নিজেও প্রচার থামিয়ে দিয়েছে।’
রিজভী আরও বলেন, ‘প্রচার চালানোর জন্য দলীয় সমর্থকদের যে হাতখরচ, প্রার্থী তাও বন্ধ করে দিয়েছে। প্রার্থীর পক্ষে প্রচারের জন্য যে নির্বাচনী ক্যাম্প খোলা হয়েছিল, এখন তা জনমানবহীন। শুরুতে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট গণমাধ্যম নানা অ্যাঙ্গেলে প্রচার চালিয়ে নির্বাচন জমানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু প্রার্থী ও তাদের সমর্থক এবং সাধারণ মানুষের ভোট নিয়ে আগ্রহ না থাকায় গণমাধ্যমের আগ্রহেও ভাটা পড়েছে। তবে নানা চাপের কারণে তারাও প্রচার চালাতে বাধ্য হচ্ছে। ভাগবাটোয়ারার এই নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে নিজের পোলিং এজেন্ট দেওয়া নিয়েও প্রার্থীদের মাঝে কোনো আগ্রহ নেই। কেউ কেউ পোলিং এজেন্ট সংগ্রহের জন্য বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে এক মতবিনিময় সভায় স্বীকার করেছেন যে, ২০১৮ সালে রাতে ভোট হয়েছিল। ৯৯ নয়, ১০০ শতাংশ নিশ্চিত করতে পারি, এবার আর আগের রাতে ভোট হবে না। এ জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ব্যালট পেপার সকালে যাবে— উনার এই সরল স্বীকারোক্তির পর যেসব জিনগত আওয়ামী মিথ্যুক এতদিন রাতের ভোট নিয়ে বিতর্ক করেছিলেন তাদের মুখ বন্ধ হবে নিশ্চয়ই। এবারের নির্বাচনে বহু এলাকায় ডামি প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরাই প্রকাশ্যে স্বীকার করছেন কীভাবে ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতে ভোট ডাকাতি করেছিল।’
রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী দলদাস কাজী হাবিবুল আউয়াল তো জানেন এবার রাতে করা লাগবে না। রাতে ভোট করার প্রয়োজন নেই। কারণ এবার তো আর বিরোধী দলের কেউ নেই। এবার দেশের সমস্ত সচেতন মানুষ জানে, দিনের বেলায় প্রকাশ্যে ৫৭ সেকেন্ডে ৪৩টি সিল মারার ভোট হবে। জেলায় জেলায় আগে ব্যালট পেপার পাঠানোর মানে নৌকায় সিল মেরে আগেই বাক্সটা ভরে সকালে কেন্দ্রে পাঠাতে সুবিধা হবে। তারপর ওবায়দুল কাদেরের ঘোষণার মতো ৭০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে দেখিয়ে গণভবনের তালিকা অনুযায়ী ফলাফল ঘোষণা করবে।’
বাংলাবার্তা/এসএ/এসকে