প্রেসক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণের জয়নুল আবদিন ফারুক। ছবি : বাংলাবার্তা
বিএনপি জনগণকে সম্পৃক্ত করে রাজপথে আন্দোলনে থেকে চেষ্টা করবে সরকারের একদলীয় নির্বাচনের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং তোপখানা রোড়ে ভোট বর্জনে লিফলেট বিতরণের আগে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবেদিন বলেন, ‘সরকার ভাই ভাইয়ে যে এক দলীয় নির্বাচন করতে যাচ্ছে…৭ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করবে না। কারণ আমরা আজকে পঞ্চম দিন লিফলেট বিতরণের কর্মসূচিতে পাড়া থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে যে অনুভূতিটা জনগণের কাছ থেকে পাচ্ছি, মানুষের কাছ থেকে পাচ্ছি, ভোটারের কাছ থেকে পাচ্ছি, তারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।’
মানুষ কেন এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারণ, এটা একটি একদলীয় নির্বাচন। যারা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে তারা সবাই এক দলের সমর্থক, তাদের নেতা এক, তাদের সভাপতি এক। সেই কারণে জনগণ এই প্রহসনের নির্বাচনে ভোট দিতে যাবে না।’
৭ জানুয়ারি ভোট হচ্ছে.. বিএনপি কি করবে এরকম প্রশ্রের জবাবে সাবেক বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ বলেন, আমরা মনে করি, ৭ জানুয়ারি ২০১৪ সালের মত আরেকটি ভোটবিহীন নির্বাচন সরকার করবে। আমরা জনগণকে এই ভোট বর্জনের কথা বলছি। বলছি ভোটের দিন ঘরে থাকুন, কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। আমরা প্রতিহত শব্দটা এখন বলছি না, আমরা জনগণকে সম্পৃক্ত করছি। আমরা কি করব, এখনো সময় আমাদের আছে।’
ফারুক বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারির ভোট বর্জনে গ্রাম-গঞ্জের জনগণ ‘একাট্টা’ হয়ে গেছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। ‘২০১৮ সালে বিশ্বাস করে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। সেই বিশ্বাস সরকার ভঙ্গ করেছে। তারা দিনের ভোট রাতে করে প্রমাণ করেছে যে, তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। সেই নির্বাচনের মত আরেকটি নির্বাচন করতে পারবে, কিন্তু আমি আগেই বলেছি, শুক্রবারের পর শনিবার আসে, রোববারের পর সোমবার আসে।’
এদিন জাতীয়তাবাদী উলামা দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে জয়নুল আবদিন ফারুক পথচারী, দোকানদারসহ সাধারণ মানুষের হাতে লিফলেট তুলে দেন।
বাংলাবার্তা/এমপি