রুহুল কবির রিজভী। বাংলা বার্তা
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘জনগণ আমাদের কর্মসূচিতে সমর্থন দিচ্ছে। আমরা হাটে-মাঠে, খেতে-খামারে, বাজারে-শপিংমলে জনগণকে লিফলেট দিয়েছি। মানুষ আমাদের কথা শুনেছে এবং সমর্থন দিয়েছে। এভাবে আমাদের এক দফার আন্দোলন ত্বরান্বিত হচ্ছে।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলন বাধাগ্রস্ত করতে সরকার ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যেভাবে ষড়যন্ত্র করেছে সেটা আবারও করছে। পুলিশ হয়রানি করছে, গ্রেপ্তার ও মামলা দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রে বিরোধী দল স্বীকৃত সত্য। কিন্তু সরকার সেটাকে মানতে চায় না। যাতে তাদের ক্ষমতার মধুর হাড়ি উল্টে না যায়। সেজন্যই শেখ হাসিনার ফ্যাসিজমকে পাহাড়া দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির নেতা-কর্মীরা বিএনপিকে নির্মূলের হুঙ্কার দিচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘শুধুমাত্র একজন ব্যক্তির সর্বময় ক্ষমতাধর হওয়ার ইচ্ছার কারণে আজ সারাদেশকে নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে সরকার। আজকে দেশের মানুষ আতঙ্কের মাঝে দিন পার করছে। দেশে ফ্যাসিবাদের উত্থান ঘটেছে। চারদিকে পুলিশ-র্যাব ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর রাজত্ব চলছে। বাড়ি থেকে লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে। নারীদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করছে। গ্রেফতার করলেও কোনো তথ্য দিচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণকে আতঙ্কের মধ্যে রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছেন। তিনি তো জনগণের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সীমাহীন দমন-পীড়ন চালাচ্ছেন। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে আওয়ামী লীগ ভয় পাচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে নীল নকশা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশকে নিয়ে গভীর ও ভয়ানক চক্রান্ত চলছে।’
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর হিংসার মাত্রা বেড়েই চলছে। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয় জিঘাংসামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। যা মিথ্যা এবং কাল্পনিক। তিনি রাজনীতির নীতি নৈতিকতা মানছেন না। তারেক রহমান ও জিয়া পরিবারকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে ধরনের বক্তব্য দেন তা মিথ্যা ও কটুক্তিমূলক। কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের বক্তব্য দিলে সে দেশের জনগণের শালীনতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।’
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার এবং ৬টি মামলায় নতুন করে ৪২৯ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
বাংলাবার্তা/এআর