
রুহুল কবির রিজভী (ছবি: সংগৃহীত)
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘আমরা যখন লিফলেট বিতরণ করতে যাই, তখন অনেকেই আমাদের সঙ্গে হাত মেলায়। চোখের ভাষায় বোঝা যায়, তাদের সম্মতি আছে আমাদের কর্মসূচিতে। বোঝা যায়, তারা আতঙ্কে আছে। এমনও হয়েছে লিফলেট হাতে নিয়ে একজন সরকারি চাকরিজীবী বলেছেন- এটা প্রকাশ্যে পড়া যাবে না, বাসায় নিয়ে পড়ব।’
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘সরকারের সীমাহীন নিপীড়ন-নির্যাতনের কারণে দেশে দুঃশাসন এতটাই তীব্র হয়েছে যে স্বাভাবিকভাবে জীবন-যাপন করা যাচ্ছে না। যারা সত্য কথা বলবে, তাদের নামে হবে নাশকতাসহ ভয়ংকর সব মামলা। এই দেশে যখন উপনিবেশ শাসন ছিল, তখনও রাজনীতিবিদদের নামে মামলা দেওয়া হতো। কিন্তু তখন তাদেরকে সম্মান করত। সেটা কারাগারে হোক বা কারাগারের বাইরে হোক। বর্তমানের মতো এত অসম্মান করা হতো না। আওয়ামী লীগের এই নিপীড়ন অতীতের স্বৈরাশাসকের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, 'এ দেশে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম হয়েছে আন্দোলন হয়েছে। স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধেও আন্দোলন হয়েছে। সেই আন্দোলনে আমিও আহত হয়েছি আমার পেটে গুলি লেগেছিল। সেই গণতন্ত্রের আন্দোলনের চিহ্ন এখন আমি বয়ে বেড়াচ্ছি। এখনও কেন এই দেশে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হবে? এখনও কেন মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য কথা বলতে হচ্ছে। এগুলোর জন্য সেলিম, সাজু, দিপালী সাহা, শাজাহান সিরাজ আত্মদান করেছে। সর্বোপরি ডাক্তার মিলন, জিহাদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছে।’
রিজভী আরও বলেন, 'কারাগারের ভেতরেও বিএনপির সিনিয়র নেতাকর্মীরা নিপীড়ন-নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। সাবেক যারা এমপি কারাগারে তারা ডিভিশন পান। কিন্তু সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ডিভিশন বাতিল করে সাধারণ কয়েদিদের জায়গায় রাখা হয়েছে।’
তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের মোট গ্রেফতার ১০৫ জনের অধিক। মোট মামলা ৪টি। আসামি করা হয়েছে ৩২৫ জনের অধিক। আর ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত।
বাংলাবার্তা/এসএ