বিএনপি। ছবি : সংগৃহীত
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের শীর্ষ কারাবন্দি ৬৩ নেতার দ্রুত মুক্তি চায় বিএনপি। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ব্যাপারে দলের বক্তব্য তুলে ধরেন।
রিজভী বলেন, ‘নিপীড়ক হাসিনা সরকারের অকথ্য নির্যাতন ও পৈশাচিক অত্যাচারে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ শীর্ষ নেতা ও হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাবন্দি হয়ে এখনও দম বন্ধ করা জীবন যাপন করছে। সমস্ত মানবিক মৌলিক অধিকার হরণ করে নিপীড়নের সর্বোচ্চ মাত্রা প্রয়োগ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কারাবন্দি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও হাজার হাজার নেতা-কর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসা না পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলসহ আন্তর্জাতিক অধিকার গ্রুপ এবং গণতান্ত্রিক বিশ্ব বাংলাদেশে বিরোধীদের ওপর সরকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেও রক্তপিপাসু ফ্যাসিস্ট সরকার সেগুলোকে ভ্রম্নক্ষেপ করছে না।’
কারাবন্দি কেন্দ্রীয় নেতা: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কারাগারে থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে রয়েছেন— দলের ভাইস চেয়ারম আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, লায়ন আসলাম চৌধুরী, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পদাক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, সহ-প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পদাক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সহ-গ্রমা সরকার বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু সাঈদ চাঁদ, সাইয়েদুল ইসলাম বাবুল, শেখ রবিউল আলম রবি, আবুল হোসেন খান ও ফজলুর রহমান খোকন।
কারাবন্দি মহানগর, জেলা এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা: ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজনু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভির আহমেদ রবিন, সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া নুরুদ্দীন অপু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, সাবেক সহ-সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, খুলনা জেলা বিএনপির সভাপতি আমির এজাজ খান, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি দুলাল হোসেন, জয়পুরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গুলজার হোসেন, ফেনি জেলা বিএনপির আহ্বাক শেখ ফরিদ উদ্দিন বাহার, বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক, নওগাঁ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বায়জিদ হোসেন পলাশ, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুন নবী টিটুল, পিরোপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লাভলু গাজী, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ফরহাদ, নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহী, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু ইউসুফ টিপু, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মাহফুজুন্নবী ডন, পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব খন্দকার মাকসুদুর রহমান মাসুদ, ব্রহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল আসলাম, ফরিদপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ কে কিবরিয়া, শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস মৃধা, যুবদলের সহ- সভাপতি ইউসুফ বিন জলিল (মির্জা কালু), ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যাল ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল সিকদার।
বাংলাবার্তা/এআর