টিআইবির বক্তব্যকে বিএনপির ২ নেতার সাধুবাদ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশস (টিআইবি) দেশি-বিদেশি সংস্থা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে বক্তব্য দিয়েছে, তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ড. আব্দুল মইন খান।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তারা এ সাধুবাদ জানান।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমানুষের পক্ষে যারা কথা বলছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা যা বলি সেটা গুরুত্বপূর্ণ, জনগণ যা বলে সেটা ‍গুরুত্বপূর্ণ।’

‘টিআইবি বিএনপির দালালী করছে’ মন্ত্রীদের এমন বক্তব্যের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘কে বলেছে যে, এই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে? সবাই তো বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় নাই। কাজেই টিআইবি যা বলেছে, তা জনমতের প্রতিফলন। আমরা (বিএনপি) যা বলেছি, সেটাও জনমতের প্রতিফলন। ফলে, আমাদের কথা যদি মিলে যায়, সেটা একজন আরেকজনকে পছন্দ করার জন্য না, এটা সত্য বলার জন্য।’

তিনি বলেন, ‘জনগণ এই সরকারের স্বৈরশাসন পছন্দ করে না। এই সরকার যে অন্যায়ভাবে আমাদের নেতাদের গ্রেফতার করে রেখেছে, বেগম খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে রেখেছে, সেটা জনগণ পছন্দ করে না। যারা এসব অন্যায়-অনাচার-জুলুম-নির্যাতন-নিপীড়ন এবং ভোট চুরির সমালোচনা করে তাদের সবাইকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন, সেই গণতন্ত্র মেরে ফেলা হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করার যে লড়াই, সেই লড়াই চলছে। এই লড়াইয়ের যে কর্মসূচি, সেটা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়। এর পরের কর্মসূচিও আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. মঈন খান বলেন, ‘শুধু টিআইবি কেন, কে বলে নাই সেটা বলেন? কে বিএনপির কথাকে রিপিট করে প্রমাণ করে নাই যে, বিএনপি বিগত ১৫ বছর ধরে এই সরকারের স্বৈরাচারি প্রকৃতি এবং একদলীয় শাসন সম্বন্ধে যে কথা বলেছে, এটা কোন দেশে-বিদেশে, কোন প্রতিষ্ঠান, কোন সরকার বলে নাই যে, বিএনপি সত্য কথা বলে নাই।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি লগি-বৈঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না আওয়ামী লীগের মতো। আমরা শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে বিশ্বাসী এবং আমাদের যে কর্মসূচি চলমান রয়েছে এবং এই চলমান কর্মসূচি আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে অব্যাহত রাখব এবং এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব।’

মঈন খান বলেন, ‘এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। সেই গণতন্ত্র আজকে বাংলাদেশে মৃত। এটা শুধু আমাদের কথা নয়, এটা শুধু বাংলাদেশের মানুষের কথা নয়। এটা সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী মানুষের কথা। তারা বলেছে বাংলাদেশে আজকে একদলীয় শাসনের পরিণত হয়েছে।’

এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাখাওয়াত হাসান জীবন, কায়সার কামাল, তাইফুল ইসলাম টিপুসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্র দল, তাঁতী দল, মতস্যজীবী দল, মুক্তিযোদ্ধা দলের নেতা-কর্মীরা।