জাতীয় পার্টির পদত্যাগকারী নেতাদের সংবাদ সম্মেলন (ছবি: সংগৃহীত)
জাতীয় পার্টির ঢাকা মহানগর উত্তরের ১০টি থানার অন্তত ৬৭১ জন নেতাকর্মী দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। তাদের অভিযোগ দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর স্বেচ্ছাচারিতা।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই গণ পদত্যাগের ঘোষণা দেন দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য বহিষ্কৃত আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম পাঠান বলেন, আপনারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এবং পরে জাতীয় পার্টির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত আছেন। দলের বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদের নির্বাচনের আগে সরকারের বিরুদ্ধে নানা কথা বলে এবং বিবৃতি দিয়ে সরকার বিরোধী অবস্থানের জানান দিয়েছে। এতে আমরাও তার প্রতি আস্থা রাখি। কিন্তু আমরা বুঝি নাই তিনি সরকারের সাথে গোপনে আঁতাত করে নিজের স্বার্থ রক্ষার করে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, পার্টির চেয়ারম্যান এবং মহাসচিব ৩০০ আসন থেকে প্রার্থী মনোনীত করার পর মাত্র ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের সাথে সমঝোতায় আসে। এই সমঝোতায় তারা পার্টিকে বিক্রি করে দিয়েছেন। ফলে নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়ে মাত্র ১১ জন প্রার্থী এমপি হয়ে এসেছেন।
তিনি আরও বলেন, এমন অবস্থায় জাতীয় পার্টির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। পার্টির তৃণমূল পর্যায় থেকে পার্টিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাবার জন্য চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবের পদত্যাগের দাবি ওঠে। পার্টির এই দুরবস্থার মধ্যেও চেয়ারম্যান স্বেচ্ছাচারিতার নিকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে পার্টির নিবেদিত প্রাণ নেতাদের একের পর এক অব্যাহতি দিয়ে চলেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাপার ঢাকা মহানগর উত্তরের সদ্য বহিষ্কৃত আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু অভিযোগ করে বলেন, জাপাকে জি এম কাদের ধ্বংস করে ফেলেছেন। তার দল করার কোনো যোগ্যতা নেই। আমরা আপনার পদত্যাগ দাবি করি। জি এম কাদেরের নেতৃত্বে দল করবেন না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মেধাহীন নতুন শিক্ষা সিলেবাস জাতি প্রত্যাখ্যান করেছে: রিজভী
এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তরের ১০টি থানার ৬৭১ জন নেতাকর্মী গণপদত্যাগ করেন। থানাগুলো হলো- মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেরে-ই-বাংলা, হাতিরঝিল, পল্লবী, মিরপুর, বাড্ডা, রূপনগর, দারুস সালাম ও ক্যান্টনমেন্ট থানা।
বাংলাবার্তা/এসএ