সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বাংলা বার্তা
কোন বন্ধু দেশের সহায়তায় নয়, জনগণের ভোটেই ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামী লীগ। আর এই সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরো মন্ত্রিসভা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। দ্রব্যমূল্য শিগগিরই নিয়ন্ত্রণে আসবে। এ সময় তিনি আগামী ৩০ জানুয়ারি লাল-সবুজের পতাকা হাতে সারাদেশে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ডাক দেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গয়েশ্বর বাবু আজ পল্টনে হাজির হয়েছেন, কোথায় ছিলেন এতদিন। বলেছিলেন, আমরা অলিগলি খুঁজে পাব না। এখন গয়েশ্বর বাবু অলিগলি খুঁজে পাচ্ছেন না। দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আছে আরও পাঁচ বছর। কবে হবে আন্দোলন। রোজার পর না ঈদের পর। মানুষ বাঁচে আর কয় বছর। এই আন্দোলন মানুষ মানে না। হরতাল ডাকে, অবরোধ ডাকে মানুষ আসে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকার। তারা কালো পতাকা মিছিল করে। কালো পতাকা মানে কী, শোকের মিছিল। কালো পতাকা ভুয়া। বিএনপির নেতাকর্মীরা হতাশ, তারা আর তারেকের ফরমায়েশি কথায় কান দেয় না।
তিনি বলেন, নির্বাচনের খেলা শেষ, এখন খেলা রাজনীতির। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধেও খেলা হবে। খেলা হবে হরতাল ও আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। কোথায় অক্টোবরের ২৮ তারিখ? সময় ঠিক এরকম। কোথায় ছিলেন এতদিন গয়েশ্বর? বলেছিলেন, অলিগলি খুঁজে পাবো না, কে পালিয়েছে? অলিগলি খুঁজে পাননি। এক দোকানে গিয়ে বলছেন, আওয়ামী লীগের গুন্ডারা আমাকে খুঁজছে। সেই দোকানদার বলে আমিও আওয়ামী লীগ। যাবে কোথায়? দেখতে দেখতে ১৫ বছর। সামনে আরও ৫ বছর। মানুষ বাঁচে কয় পছর? কবে হবে আন্দোলন? রোজার আগে না রোজার পর?
বিএনপিকে ভুয়া দল এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি আবার মাঠে নেমেছে। আন্দোলন করে তারা ভুয়া হয়ে গেছে। এই আন্দোলনে পাবলিক সাড়া দেয় না। অবরোধ ডাকে কেউ শুনে না, হরতালে রাস্তায় যানজট। বিএনপির অবরোধ, হরতাল ভুয়া। বিএনপি মানেই হচ্ছে ভুয়া।
তিনি বলেন, বিদেশিদের ভয় দেখান? ৪১.৮ শতাংশ লোকের ভোটারের ভোটে সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার জনগণের সরকার, নির্বাচিত সরকার। যেখানে ২৮ দল অংশ নিয়েছে। চীন বা রাশিয়া আমাদের বন্ধু হতে পারে। তবে আমাদের বিদেশি শক্তি ক্ষমতায় বসায়নি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি।
বিএনপি শোকের মিছিল করছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, কালো পতাকা মানে কি? শোক মিছিল। ৩০ তারিখে আবার কালো পতাকা মিছিল ডাকছে। সেটাও ভুয়া। লোকজন নেই, জনগণ নেই, নেতাকর্মীরাও হতাশ। নেতাকর্মীরা এখন আর তারেকের ফরমায়েশে কান দেয় না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী'র সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, এডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান শিখর সহ অনেকে। শান্তি ও গণতন্ত্র সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিনের দপ্তর সম্পাদক মো: রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ।
বাংলাবার্তা/এআর