ওবায়দুল কাদের। ফাইল ফটো
বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আমাদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। আমরা নাকি হত্যার ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছি। বিএনপির চেয়ে বড় উগ্রবাদী এ দেশে আর কেউ নেই।
বিএনপিই বেফাঁস কথা বলে থাকে। বেপরোয়া গাড়ির চালকের মতো রাজনীতিতেও মির্জা ফখরুলরা বেপরোয়া। অতীতের মতো রাজনীতিতে তারা দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়। রাজনীতিতে টিকে থাকতে তাদের কাছে আর কোনো রসদ নেই।
তিনি আরও বলেন, যাদের হাতে রক্তের দাগ, যারা এদেশে হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছিল, মানব সভ্যতার ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কিত হত্যাকাণ্ড ৭৫’র ১৫ আগস্ট ঘটিয়েছিল তার মাস্টারমাইন্ড ছিল খন্দকার মোশতাক ও জেনারেল জিয়াউর রহমান।
জাতীয় ৪ নেতা, একুশে আগস্টে সন্ত্রাসী হামলায় ২৩ জনের প্রাণ ঝরে যায়। এসব হত্যাকাণ্ড বিএনপির আমলে সংঘটিত করেছিল। মির্জা ফখরুল হঠাৎ এক বিবৃতিতে কোথা থেকে পেলেন আওয়ামী লীগ নাকি হত্যা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছে? উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাচ্ছেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেরাই নিজেদের নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের উপর দায় চাপিয়েছিল বিএনপি। একুশে আগস্ট জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছিল তারা। এমন নাটক তারা বারবার সাজিয়েছে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করতে। নিজেদের কৃতকর্মের দায় অন্যের উপর চাপাতে তাদের অপকর্ম এখনো অব্যাহত আছে। জেল থেকে বের হয়ে মির্জা ফখরুল যা বলছেন তা এসব নাটকেরই প্রতিধ্বনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, পারভীন জামান কল্পনা, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, সাবেক সদস্য রিয়াজুল কাউসার, সাবেক ছাত্রনেতা ইসহাক আলী খান পান্নাসহ প্রমুখ।
বাংলাবার্তা/আরইউ