
সংগৃহীত
দেশের বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যুকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বামপন্থি সংগঠনগুলোর রাজপথে সক্রিয়তা নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। ধর্ষণ, হত্যা, দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে বিভিন্ন সংগঠন নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছে, যা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে বিশেষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, দীর্ঘদিন রাজনীতির মূলধারা থেকে খানিকটা দূরে থাকা বাম দলগুলো হঠাৎ করেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে গণজাগরণ মঞ্চের পুরনো নেতারা, যারা রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ছিলেন, তারাও আন্দোলনের সামনের সারিতে দেখা যাচ্ছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বাম সংগঠনগুলোর ব্যানারে একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এসব সংগঠনের পেছনে দেশের একটি বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তির পরোক্ষ সমর্থন থাকতে পারে।
গণফোরামের কার্যকরী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, "বাম দলগুলোর মধ্যে আদর্শিক বিভক্তি থাকলেও তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সুবিধাবাদিতা নতুন কিছু নয়। অতীতে বিভিন্ন সময় তাদের ক্ষমতার আশপাশে দেখা গেছে।"
তবে এসব অভিযোগ নাকচ করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, "আমাদের আন্দোলন জনগণের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। এসব অভিযোগ কল্পনাপ্রসূত এবং ভিত্তিহীন।"
এদিকে, গোয়েন্দা সূত্রের বরাতে জানা গেছে, বাম সংগঠনগুলোর সাম্প্রতিক আন্দোলন একটি সুসংগঠিত পরিকল্পনার অংশ হতে পারে, যেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যও জড়িত। বিশেষ করে বামপন্থি দলগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ছাত্র সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, "দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সাম্প্রতিক উত্তাপের পেছনে কে বা কারা মূল ভূমিকা রাখছে, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।"
বাংলাবার্তা/এমএইচ