
ফাইল ছবি
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ও মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের বিচারিক প্রক্রিয়া বর্তমানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের অভিযোগ, দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছদ্মবেশী ভারতীয় দালালদের কারণে ৫ মে শাপলার গণহত্যা, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, গুম-খুন এবং ২৪ সালের গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া গতিহীন হয়ে পড়েছে। তারা দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগকে গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে বিচারিক প্রক্রিয়ায় নিষিদ্ধ করা উচিত এবং এর বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদবিরোধী পক্ষগুলোকে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।
রোববার এক বিবৃতিতে হেফাজতের নেতারা বলেন, "আওয়ামী লীগ একটি গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট দল হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই তাদের কোনো সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম চলতে দেওয়া যাবে না। গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আরো গভীর অনুসন্ধান চালিয়ে পূর্ণ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "বর্তমান সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য ও গণহত্যার বিচার। এজন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সংস্কার এবং জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচন করা উচিত।" তারা বিশেষভাবে বলেছে, "পাশ্চাত্য ও হিন্দুত্ববাদী চেতনানির্ভর ভোগবাদী দর্শন কোনভাবেই দেশের কল্যাণে সহায়ক হবে না। আমাদের রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার করতে হবে, তবে দেশের মুসলমান জনগণের ইমান, আকিদা, ধর্ম, সংস্কৃতি ও সামাজিক মূল্যবোধ রক্ষা করে।"
হেফাজতের নেতারা আরো দাবি করেছেন, বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের অধিকাংশ সদস্যের অদক্ষতা ও ব্যর্থতা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তারা বলেন, "এই উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা দেশের বিপ্লবী চেতনাকে উপেক্ষা করে নিজেদের সুবিধা নিয়েছেন। জনগণের মধ্যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের সংকট মোকাবিলায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।" তারা, এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, "এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে চৌকস ও বিপ্লবী মানসিকতার ব্যক্তিবর্গকে উপদেষ্টা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।"
এছাড়া, হেফাজতের নেতারা তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং ভবিষ্যতে সকল রাজনৈতিক দলকে আলেম-ওলামা এবং তৌহিদী জনতার সমর্থন ছাড়া ক্ষমতায় আসা সম্ভব নয় বলে হুঁশিয়ারি দেন।
বাংলাবার্তা/এমএইচ