হজের নিবন্ধন। ছবি : সংগৃহীত
এর আগে দুই বার সময় বাড়ানোর পরও খালি আছে হজ নিবন্ধন কোটার বেশির ভাগ আসন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নিবন্ধনের সময় শেষে দেখা গেছে, সরকারি ও বেসরকারি উভয় ব্যবস্থাপনায় প্রাক নিবন্ধন করেছে ৫৩ হাজার ১১৫ জন, আসন ফাঁকা রয়ে গেছে ৭৪ হাজার ৮৩ জনের।
ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছর সৌদি সরকার হজ নিবন্ধনের জন্য টানা আটবার সময় বাড়ানোর অনুমতি দিলেও এ বছর প্রয়োজনীয় নিবন্ধন কোটা পূরণে কোনো অতিরিক্ত সময় দিচ্ছে না।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে এ বছরের হজ নিবন্ধন শুরু হয়। শেষ সময় ছিল ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরবর্তীতে হজ নিবন্ধনের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত হজ নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো হয় মন্ত্রণালয় থেকে। কিন্তু নিবন্ধনে কাঙ্খিত সাড়া মেলেনি।
মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত জনসংযোগ কর্মকর্তা আবুবকর সিদ্দিক বাংলা বার্তাকে জানান, রোববার সন্ধ্যায় হজ এজেন্সি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) এর সাথে মন্ত্রণালয়ের বৈঠক আছে। সেই বৈঠকের পর আর সময় বাড়ানো হবে কিনা সে বিষয়ে একটি নতুন ঘোষণা আসতে পারে।
তবে হজ নিবন্ধনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের হজ অনু বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম। তিনি জানান, সৌদি আরব কোনো অতিরিক্ত সময় দিচ্ছে না।
হাবের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন বৈশ্বিক মন্দা এবং অন্যান্য কারণে হজ কোটা পূরণে বাংলাদেশ বরাবরই পিছিয়ে রয়েছে। শুধুমাত্র ২০১৯ সালে, মহামারীর আগে, বাংলাদেশ কোটা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছিল। তা না হলে দেশে বরাবরই হজ কোটা অনিবন্ধিত থাকতে দেখা যায়।
হজ করতে ইচ্ছুক হজযাত্রীরা হজ পালনের ইচ্ছে থাকলেও পিছিয়ে পড়েছেন কারণ এর খরচ তাদের সক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। ডলার এবং সৌদি রিয়ালের উচ্চ বিনিময় হারের কারণে ফ্লাইট এবং বাসস্থান সহ সমস্ত খরচ বেড়েছে।
তবে বাংলাদেশ থেকে হজ পালনের খরচ কমানোর জন্য বিভিন্ন মহল থেকে বেশ কিছু দাবি উঠেছে।
সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজ (হজ প্যাকেজ ২০২৩) কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং প্যাকেজ কেন কমানো হবে না, তা জানতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
বাংলাদেশে এ বছর হজের জন্য ১২৭,১৯৮ কোটা রয়েছে। কিন্তু মোট কোটার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ শূন্য রয়েছে।
বাংলাবার্তা/এআর