বাংলাবার্তা
প্রতিটি পুরুষের জীবনের অন্যতম চাওয়া একজন পুণ্যবতী স্ত্রী। রঙিন এ সময়ে একজন পুণ্যবতী স্ত্রীই একজন পুরুষের ঈমান, আমল রক্ষার অন্যতম মাধ্যম। পুণ্যবতী জীবনসঙ্গী সবাই চায়। কিন্তু তা চাইলেই পাওয়া যায় না- মহান আল্লাহ যদি চান তাহলেই পাওয়া যায়। আর যদি মহান আল্লাহ না চান তাহলে শত চেষ্টা করেও সম্ভব নয়।
বিয়ের মাধ্যমে মানুষের নিঃসঙ্গতা ও একাকীত্ব দূর হয়। হাদিসে বিয়েকে ঈমানের পূর্ণতা বলা হয়েছে। সৃষ্টিগতভাবেই নারী-পুরুষ একে অপরের পরিপূরক। নারী ছাড়া পুরুষ এবং পুরুষ ছাড়া নারীর জীবন অসম্পূর্ণ। মহান আল্লাহ হজরত আদম (আ.) কে সৃষ্টি করার পর হজরত হাওয়া (আ.) কে তার জীবন সাথিরূপে সৃষ্টি করেন। তাদের বিয়ের মাধ্যমে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনো পৃথিবীতে চলমান। আজকে আমরা জানব, কোন আমলে দ্রুত বিয়ে হয় কিংবা বিয়ের ব্যবস্থা ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য কাজ সহজ হয়।
পুণ্যবতী স্ত্রী লাভের দোয়া
পবিত্র কুরআনে হজরত মুসা (আ.)-এর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। সেখানে হজরত মুসা (আ.)-এর একটি দোয়াও এসেছে। যে দোয়া পড়ার পর মহান আল্লাহ তাঁর জন্য থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। তার আশ্রয়ের পাশাপাশি উত্তম জীবন সঙ্গীনির ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। শিক্ষণীয় সেই দোয়াটি হলো-
উচ্চারণ: রব্বি ইন্নি লিমা আন-যালতা ইলাইয়া মিন খাই-রিন ফাকির।
অর্থ: হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি তার মুখাপেক্ষী। (সুরা আল-কাসাস, আয়াত : ২৪)
মহান আল্লাহ চোখ শীতলকারী স্ত্রী ও সন্তানের জন্য পবিত্র কুরআনে বর্ণিত দোয়াটি শিখিয়ে দিয়েছেন।
উচ্চারণ: রব্বানা-হাবলানা মিন আযওয়া-জ্বিনা ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা কুরর-তা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তা-কীনা ইমামা।
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের এমন স্ত্রী ও সন্তান দান করুন। যারা আমাদের চোখ জুড়িয়ে দেয় আর আমাদেরকে (পুরুষদেরকে) মুত্তাকি লোকদের নেতা বানিয়ে দিন।’ (সুরা ফোরকান, আয়াত : ৭৪)
আরও পড়ুন : পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নারীর বিয়ে কেমন ছিল
মহান আল্লাহর কাছে চাওয়া প্রতিটি দোয়া কবুল হয়। তাই বিগলিত হৃদয়ে কায়মনো বাক্যে মহান আল্লাহর কাছে পুণ্যবতী স্ত্রীর জন্য দোয়া করতে হবে। ইনশাআল্লাহ মহান আল্লাহ নারী-পুরুষ উভয়কে পুণ্যবতী স্ত্রী ও স্বামী দান করবেন।
মহান আল্লাহ প্রত্যেক পুরুষকে পুণ্যবতী স্ত্রী দান করুন। আর প্রত্যেক নারীকে পুণ্যবতী স্বামী দান করুন। আমিন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ