ছবি: বাংলাবার্তা
প্রতিটি মুমিনের একমাত্র চাওয়া জান্নাত। জান্নাতের নেয়ামতসমূহ মানুষ কল্পনা করেও শেষ করতে পারে না। মহান আল্লাহ তাঁর মুমিন বান্দাদের জন্য জান্নাত প্রস্তুত রেখেছেন। জান্নাতে যাওয়ার জন্য মুমিন বান্দাদের মহান আল্লাহর আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী চলতে হবে।
প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো অন্তরায় থাকে না।’ (শুআবুল ঈমান, হাদিস : ২৩৯৫) যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করে তার মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় সুরা বাকারার ২৫৫ নম্বর আয়াত হচ্ছে আয়াতুল কুরসি। পবিত্র কুরআনের সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ আয়াত এটি। এ আয়াতে মহান আল্লাহর জোরালো ক্ষমতা ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা কোনো কঠিন কাজ নয়। সকলেই আয়াতুল কুরসি মুখস্থ করবো। যারা পারি না, তারা বাংলা উচ্চারণ দেখে মুখস্থ করে বিজ্ঞ কারো কাছে বিশুদ্ধ উচ্চারণে মুখস্থ করবো-
আয়তুল কুরসির বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা হু-ওয়াল হাই-য়্যুল ক্বাই-য়্যুম। লা তা-খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা না-উম। লাহূ মা ফিস-সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আর-দ্ব। মান যাল্লা-যী ইয়াশ-ফাউ ই-ন্দাহূ ইল্লা বিইজ-নিহ। ইয়া-লামু মা-বাইনা আইদি-হিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহি-তূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ইলমিহি ইল্লা বিমা শাআ’ ওয়াসি-আ’ কুরসিইয়্যুহুস সামা-ওয়াতি ওয়াল আরদ্ব, ওয়ালা ইয়াউ-দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল আলিই-য়্যুল আ-জিম।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৫৫)।
আরও পড়ুন: পুণ্যবতী স্ত্রী লাভের দোয়া
আয়তুল কুরসির অর্থ: ‘আল্লাহ, তিনি ছাড়া সত্যিকারের কোনো উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব, বিশ্বচরাচরের ধারক। তাঁকে তন্দ্রা ও নিদ্রা স্পর্শ করে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, তাঁরই। কে সেই ব্যক্তি যে তাঁর অনুমতি ছাড়া তাঁর নিকট সুপারিশ করে? তিনি লোকদের সমুদয় প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য অবস্থা জানেন। পক্ষান্তরে মানুষ তাঁর জ্ঞানের কোনোকিছুই আয়ত্ত করতে সক্ষম নয়। তিনি যে পরিমাণ ইচ্ছে করেন সেটুকু ছাড়া। তাঁর কুরসী আকাশ ও পৃথিবী পরিবেষ্টন করে আছে এবং এ দু’য়ের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত করে না, তিনি উচ্চ মর্যাদাশীল, মহান।’
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে আয়াতুল কুরসি মুখস্থ ও আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ