ছবি : বাংলাবার্তা
বিশ্ব তাবলীগ জামাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এটি বিশ্ব মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসম্মেলন। বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা একত্রিত হন টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে। বিশ্ব ইজতেমা আনুষঙ্গিক বিভিন্ন দিক নিয়ে বাংলাবার্তার সঙ্গে কথা বলেছেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক, স্যোশাল এক্টিভিস্ট মাওলানা সাইমুম সাদী।
বাংলাবার্তা : বিশ্ব ইজতেমায় আপনার প্রথম স্মৃতি?
মাওলানা সাইমুম সাদী : কিশোর বেলায় সর্বপ্রথম টঙ্গী ইজতেমায় গিয়েছিলাম। কত আশা, আকাঙ্ক্ষা নিয়ে। তাবলীগের সাথীদের মাঝে কত মিল মহব্বত দেখেছি। বিশ্ব ইজতেমায় প্রথম স্মৃতিটা এখনো জ্বলজ্বল করছে।
বাংলাবার্তা : দাওয়াত ও তাবলীগের মূল উদ্দেশ্য কী?
মাওলানা সাইমুম সাদী : দাওয়াত ও তাবলীগ হল মানুষকে ইসলামের দিকে মৌলিকভাবে আহ্বানের একটি মাধ্যম। ব্যাপকভাবে বললে দাওয়াত ও তাবলীগের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেই মুসলমানেরা দ্বীন ভুলে আছে, দ্বীন থেকে দূরে রয়েছে, নামাজ-রোজা থেকে দূরে আছে তাদেরকে বিভিন্ন আমলের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া। মুসলমানদের মাঝে ঈমানী প্রেরণা জাগিয়ে তোলা, ইসলামের মৌলিক বিধান ও আমলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা তৈরি করা হলো তাবলীগের মূল উদ্দেশ্য। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘হে রাসুল! আপনি পৌঁছে দিন, যা আপনার কাছে আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে। যদি তা না করেন, তবে তো আপনি আল্লাহর রেসালা-পয়গাম পৌঁছালেন না।’ (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৬৭) উপর্যুক্ত আয়াতে ‘রাসুলের দায়িত্ব’ শব্দ থেকেই প্রতীয়মান হয়, দাওয়াত ও তাবলীগ হলো নবুওত ও রেসালতের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব।
বাংলাবার্তা : সমাজে দাওয়াত ও তাবলীগের ফলাফল কেমন?
মাওলানা সাইমুম সাদী : ফলাফল ব্যাপক। সাধারণ জনগণের বিশাল অংশ তাবলীগ থেকেই দ্বীন শিখছে। দাওয়াত ও তাবলীগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উপর যথেষ্ট দ্বীনী ও ঈমানী প্রভাব পড়ছে। এর মাধ্যমে মানুষের মাঝে ঈমানী চেতনা তৈরি হচ্ছে।
আরও পড়ুন : কাতার কুরআন প্রতিযোগিতায় হাফেজ মুশফিকের প্রথম স্থান অর্জন
বাংলাবার্তা : দাওয়াত ও তাবলীগের দুই গ্রুপ সম্পর্কে কী বলবেন?
মাওলানা সাইমুম সাদী : দাওয়াত ও তাবলীগ জামাতে দুই গ্রুপের অস্তিত্ব আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। যে জামাত নিরেট মহান আল্লাহর দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে। সাথীদের পারস্পরিক সম্পর্ক হচ্ছে ‘রুহামায়ু বাইনাহুম’ একে অপরের প্রতি সহনশীল। তাদের মাঝে গ্রুপিং কষ্টদায়ক বিষয়। আল্লাহ হেফাজত করুন।
বাংলাবার্তা : দুই গ্রুপের সমাধান কোন পথে?
মাওলানা সাইমুম সাদী : দুই গ্রুপ নয় আমরা এক গ্রুপ চাই। অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করাটা সময়ের চাহিদা। আল্লাহ দুরত্ব কমিয়ে দিন।
বাংলাবার্তা : বাংলাবার্তাকে সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মাওলানা সাইমুম সাদী : সুন্দর ও সময়োপযোগী বিষয়ে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করায় বাংলাবার্তাকেও ধন্যবাদ।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ