ছবি : বাংলাবার্তা
আর ২ দিন পর শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। তাবলীগ জামাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। এবার ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার মাঠ প্রস্তুত। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমা। এটি বিশ্ব মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসম্মেলন।
ঈমান, ইখলাস ও আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়ার উপকারিতা, উত্তম চরিত্র গ্রহণ ও মন্দ চরিত্র থেকে বিরত থাকাসহ প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বাংলা ও উর্দু ভাষায় বয়ান হবে। বিভিন্ন দেশ থেকে আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে উর্দু বয়ানের সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যেক ছাউনিতে মূল বয়ান অনুবাদ করার জন্য একজন করে দোভাষীর ব্যবস্থা রাখা হয় ইজতেমায়। চাইনিজ, জাপান, কুরিয়ান, ইংরেজি, আরবি, ফার্সি, তুর্কি ও মালাই ভাষাসহ প্রায় বাইশটি ভাষায় এ বয়ানের অনুবাদ করা হয়।
আগামী শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হওয়া আলমি শূরার বিশ্ব ইজতেমায় সারাদেশ থেকে আগত মুসল্লিদের সুবিধার্থে টঙ্গীর ময়দানে জেলাভিত্তিক খিত্তা নম্বর ও ম্যাপ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া আলমী শূরার তাবলীগের সাথীরা যে সমস্ত খিত্তায় অবস্থান করবেন তা হলো- গাজীপুর খিত্তা-১, টঙ্গী খিত্তা-২, ৩ ও ৪, মিরপুর খিত্তা-৫ ও ৬, সাভার খিত্তা-৭ ও ৮, মোহাম্মদপুর খিত্তা-৯, কেরানীগঞ্জ, খিত্তা-১০ ও ১১, কাকরাইল খিত্তা-১২, ১৩, ১৪, ১৫, ১৮, ২০ ও ২১), যাত্রাবাড়ী খিত্তা-১৬, ২৬, ২৮, ডেমরা খিত্তা-১৭, ধামরাই, খিত্তা-২৭ এবং দোহার খিত্তা-৩০।
রাজশাহী খিত্তা-১৯, চাঁপাইনবাবগঞ্জ খিত্তা-২২, নাটোর খিত্তা-২৪, নওগাঁ খিত্তা-২৩, নড়াইল খিত্তা-৪০, সিরাজগঞ্জ খিত্তা-২৯, টাঙ্গাইল খিত্তা-২৫, রংপুর খিত্তা-৩১, গাইবান্ধা খিত্তা-৩৪, লালমনিরহাট খিত্তা-৩৬, মুন্সীগঞ্জ খিত্তা-৪১, যশোর খিত্তা-৪৬, নীলফামারী খিত্তা-৩২, বগুড়া খিত্তা-৩৫, জয়পুরহাট খিত্তা-৩৩।
নারায়ণগঞ্জ খিত্তা-৩৮ ও ৩৯, ফরিদপুর খিত্তা-৬২, ভোলা খিত্তা-৪৪, নরসিংদী খিত্তা-৪৫, সাতক্ষীরা খিত্তা-৪৭, বাগেরহাট খিত্তা-৪৮, কুষ্টিয়া খিত্তা-৫৪, মেহেরপুর খিত্তা-৪৭, চুয়াডাঙ্গা খিত্তা-৪৯, ময়মনসিংহ খিত্তা-৫৫ ও ৫৩, শেরপুর খিত্তা-৫৬, জামালপুর খিত্তা-৫১ ও ৫২।
গোপালগঞ্জ খিত্তা-৫৯, কিশোরগঞ্জ খিত্তা-৫৮, নেত্রকোনা খিত্তা-৫৭, ঝালকাঠি খিত্তা-৪৩, বান্দরবান খিত্তা-৫৭, বরিশাল খিত্তা-৪২, পিরোজপুর খিত্তা-৬৫, হবিগঞ্জ খিত্তা-৬৬, কক্সবাজার খিত্তা-৬৪, সিলেট খিত্তা-৬৭, সুনামগঞ্জ খিত্তা-৬৮, ফেনী খিত্তা-৬৯, নোয়াখালী খিত্তা-৭০, লক্ষ্মীপুর খিত্তা-৭১, চাঁদপুর খিত্তা-৭২।
আরও পড়ুন : ‘সাধারণ জনগণের বিশাল অংশ তাবলীগ থেকেই দ্বীন শিখছে’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া খিত্তা-৭৩, খুলনা খিত্তা-৭৪, পটুয়াখালী খিত্তা-৭৫, বরগুনা খিত্তা-৭৬, চট্টগ্রাম খিত্তা-৭৭-৭৮, কুমিল্লা খিত্তা-৭৯, মৌলভীবাজার খিত্তা-৭৬, রাজবাড়ী খিত্তা-৯০, মাদারীপুর খিত্তা-৮৮, শরীয়তপুর খিত্তা-৮৯, মানিকগঞ্জ খিত্তা-৮৫, রাঙ্গামাটি খিত্তা-৮১, দিনাজপুর খিত্তা-৩৭, পাবনা খিত্তা-৮৪, পঞ্চগড় খিত্তা-৮৭।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম বলেন, আলহামদুলিল্লাহ। ইতোমধ্যে ইজতেমা ময়দান প্রস্তুত হয়ে গিয়েছে। ব্যাপকহারে মুসল্লিরা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন। বিদেশি মেহমানও এসেছেন অনেক। মহান আল্লাহ বিশ্ব ইজতেমাকে কবুল করুন। আমিন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ