ছবি : বাংলাবার্তা
বিশ্ব তাবলীগ জামাতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এটি বিশ্ব মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসম্মেলন। বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা একত্রিত হচ্ছেন টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে।
এবারের বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন তাবলীগের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাওলানা আহমদ লাট (ভারত) ও তাবলিগের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাওলানা ইবরাহিম দেওলা (ভারত)সহ বিদেশের মেহনমানবৃন্দ।
গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার আলমি শুরার পর্ব। বিষয়টি বাংলাবার্তাকে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম। ইতোধ্যে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া, আফ্রিকা, তুর্কমেনিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, সৌদি আরব ও কম্বোডিয়া থেকে এসেছেন অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
আরও পড়ুন : ‘সাধারণ জনগণের বিশাল অংশ তাবলীগ থেকেই দ্বীন শিখছে’
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব ইজতেমার শুরুর একদিন আগেই ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ। দেশ-বিদেশের আলেমদের পদভারে মুখরিত হচ্ছে টঙ্গীর নদীর তীরে। দাওয়াত ও তাবলীগ জামাতের আলেমদের বয়ান শুনতে ইতোমধ্যে বয়ানে জড়ো হয়েছেন লক্ষ লক্ষ মুসল্লি।
উল্লেখ্য, প্রায় এক শতাব্দি পূর্বে মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি (রাহ.)-এর মাধ্যমে প্রচলিত দাওয়াত ও তাবলীগের সঙ্গে পরিচয় হয় মুসলমানদের। মহান এ জামাতের মেহনতের মাধ্যমে বহু পথভোলা, অন্ধকার পথের যাত্রী আলোর পথে ফিরে আসে। দাওয়াত ও তাবলীগ বিশ্বের মুসলিম, অমুসলিম সব দেশে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ