ছবি : বাংলাবার্তা
এবার ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমা আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। বিশ্ব ইজতেমাকে ঘিরে দেশ-বিদেশ থেকে লক্ষ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা একত্রিত হয়েছেন টঙ্গীর তুরাগ তীরে।
বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে ঢাকায় পৌঁছেছেন তাবলীগের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাওলানা আহমদ লাট (ভারত) ও তাবলিগের আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মাওলানা ইবরাহিম দেওলা (ভারত)সহ বিদেশের মেহনমানবৃন্দ। ইতোধ্যে বিশ্ব ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া, আফ্রিকা, তুর্কমেনিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ফিলিপাইন, সৌদি আরব ও কম্বোডিয়া থেকে এসেছেন অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান।
বিশ্ব ইজতেমার মূল কার্যক্রম শুরু হবে শুক্রবার বাদ ফজর বয়ানের মধ্য দিয়ে । তবে একদিন আগেই ময়দান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে তাবলীগ জামাতের অনুসারী মানুষে। মাঠে স্থান না পেয়ে অনেকেই অবস্থান নিয়েছেন আশপাশের সড়কের পাশে।
বিশ্ব ইজতেমার মিডিয়া সমন্বয়কারী মুফতি জহির ইবনে মুসলিম জানান, দেশ-বিদেশের লাখো মুসল্লির পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীর। এর মধ্যে ১৬০ একরের ইজতেমা ময়দান কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।
তাবলীগের সাথী মুফতি জুনায়েদ আহমদ বলেন, তালিম, জিকির-আসকারে সময় পার করছেন মানুষ। তাদের ধর্মীয় কাজে মনোনিবিষ্ট করতে ও ময়দানে উপস্থিত মানুষদের জমিয়ে রাখতে দাওয়াত ও তাবলীগের মুরুব্বিরা বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে প্রাথমিক বয়ান দিচ্ছেন। প্রাথমিক বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আহমদ লাট, বাংলায় অনুবাদ করেন কাকরাইলের মাওলানা ওমর ফারুক।
আরও পড়ুন : বিশ্ব ইজতেমায় পৌঁছেছেন মাওলানা ইবরাহিম দেওলা ও আহমদ লাট
জানা গেছে, রোববার আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ আগমন অব্যাহত থাকবে। এবার ইজতেমার প্রথম দিন শুক্রবার টঙ্গীর তুরাগ তীরে দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের জুমার নামাজে ইমামতি করবেন কাকরাইলের মুরুব্বি মাওলানা জোবায়ের।
উল্লেখ্য, প্রায় এক শতাব্দি পূর্বে মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস কান্ধলভি (রাহ.)-এর মাধ্যমে প্রচলিত দাওয়াত ও তাবলীগের সঙ্গে পরিচয় হয় মুসলমানদের। মহান এ জামাতের মেহনতের মাধ্যমে বহু পথভোলা, অন্ধকার পথের যাত্রী আলোর পথে ফিরে আসে। দাওয়াত ও তাবলীগ বিশ্বের মুসলিম, অমুসলিম সব দেশে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ