ছবি : বাংলাবার্তা
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় এ পর্যন্ত ১৯ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে মারা যান তারা। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ১৩ জন এবং ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন মারা যান।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মুফতি জহির ইবনে মুসলিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তারা হলেন— রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার সানোয়ার হোসেন (৬০), চট্টগ্রামের আনোয়ারার জলিলের ছেলে আলম (৫৬), নরসিংদীর নুরুল ইসলামের ছেলে শাহনেওয়াজ (৬০), সিরাজগঞ্জ জেলার ওসমান গনির ছেলে আল মাহমুদ (৭০), শেরপুর জেলা সদরের জুগনিবাগ গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে নওশের আলী (৬৫), ভোলা জেলার পরাগগঞ্জ থানার সামানদার গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে আ. কাদের (৫৫), নেত্রকোনা সদরের কালিয়াঝুড়ি এলাকার হোসেন আহম্মদের ছেলে স্বাধীন (৪৫), নেত্রকোনা সদরের কুমারী বাজার গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আবদুস সাত্তার (৭০), একই জেলার বুড়িঝুড়ি গ্রামের স্বল্পদুগিয়া গ্রামের আব্দুস ছোবাহানের ছেলে এখলাস মিয়া (৬৮), ভোলা জেলার ভোল্লা গ্রামের নজির আহমেদের ছেলে শাহ আলম (৬০), জামালপুর জেলার তুলশীপুর এলাকার পাকুল্লা গ্রামের হযরত আলীর ছেলে মতিউর রহমান (৬০), টঙ্গীর বসির মিয়ার ছেলে আ. জব্বার(৫৫)। আরেকজনের পরিচয় জানা যায়নি।
এছাড়া ময়দানে আসার সময় মারা যাওয়া ৬ মুসল্লি হলেন— ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার ধামাউরা গ্রামের ইউনুছ মিয়া (৬০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার চৌহদ্দীটোলা গ্রামের জামান মিয়া (৪০), পুলিশ সদস্য হাসানুজ্জামান (৩০), শেরপুরের আমেলা খাতুন (৬০), ঢাকার মিরপুরের বাসিন্দা মোশাররফ আহমেদের ছেলে মোবাশ্বের আহমেদ (৬৮) ও আরেকজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন : আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো আলমি শুরার ইজতেমা
উল্লেখ্য, আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আলমি শুরার এবারের ইজতেমা। ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার আলমি শুরার মোনাজাতে অংশ নিতে মানুষের ঢল নামে। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা জুবায়ের আহমদ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ৯টা ২৩ মিনিটে শেষ হয়। ২২ মিনিট পর্যন্ত চলেছে এবারের আখেরি মোনাজাত। আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের মুক্তি এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করেন। নিজের আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লি দোয়া করেন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ