ছবি : বাংলাবার্তা
মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজরের নামাজের পর আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় এবারের ৫৭তম ইজতেমা। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে আলমি শুরার বিশ্ব ইজতেমা।
আলমি শুরার মোনাজাত শেষে বিশ্ব ইজতেমা থেকে বের হয়েছে ২৭৫০টি জামাত। এর মধ্যে দেশি জামাত রয়েছে ৩চিল্লার ১৯২টি। ১চিল্লার ২১৬৯টি। দিনের ১৯৪টি।
বিদেশি মেহমানদের জামাত রয়েছে- আরব জামাত ২০টি। উর্দু জামাত ৩৯টি। ইংলিশ জামাত ৫৫টি। পাঁচ মাসের বিদেশের জামাত ৫৫টি। ২ মাসের মাস্তুরাতসহ বিদেশের জামাত ২৬টি।
বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির গণমাধ্যম সমন্বয়ক মাওলানা হানযালা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন : মসজিদে রাত্রিযাপন অবস্থায় গোসল ফরজ হলে কী করবে
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় আলমি শুরার এবারের ইজতেমা। ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার আলমি শুরার মোনাজাতে অংশ নিতে মানুষের ঢল নামে। আখেরি মোনাজাতে অংশ নেওয়া লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লির ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে টঙ্গীর তুরাগ তীর। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বি মাওলানা জুবায়ের আহমদ। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা ১ মিনিটে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়ে ৯টা ২৩ মিনিটে শেষ হয়। ২২ মিনিট পর্যন্ত চলেছে এবারের আখেরি মোনাজাত।
মাওলানা জুবায়ের আহমদ আখেরি মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর হেদায়েত, ঐক্য, শান্তি, সমৃদ্ধি, ইহকাল ও পরকালের মুক্তি এবং দ্বীনের দাওয়াত সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য দোয়া করেন। নিজের আত্মশুদ্ধি ও নিজ নিজ গুনাহ মাফের পাশাপাশি দুনিয়ার সব বালা-মুসিবত থেকে হেফাজত করার জন্য দুই হাত তুলে মহান আল্লাহর দরবারে সন্তুষ্টি অর্জনের আশায় উপস্থিত লাখ লাখ মুসল্লি দোয়া করেন। ২২ মিনিট স্থায়ী এই মোনাজাতে লাখ লাখ মুসল্লি বারবার বলছিলেন, আমিন আমিন। মোনাজাতের সময় পুরো টঙ্গী এলাকা ‘আমিন আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে। তারা সবাই ইহলোকের মঙ্গল ও পরলোকের ক্ষমা প্রার্থনা করে সুখ ও সমৃদ্ধি চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমায় এ পর্যন্ত ১৯ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন রোগে অসুস্থ হয়ে মারা যান তারা। এর মধ্যে ইজতেমা ময়দানে ১৩ জন এবং ময়দানে আসার পথে একজন পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন মারা যান।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ