ছবি : বাংলাবার্তা
শরিফ বন্ধু-বান্ধবদের না জানিয়ে হঠাৎ বিয়ে করে ফেলে। তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছে। রাস্তায় তার এক বন্ধু বলল, তোমার সাথে এই মেয়েটি কে? সে তখন কৌশলের আশ্রয় নিয়ে বলে, আমার সাথের মেয়েটি আমার বোন। এখন শরিফ জানতে চাচ্ছে, স্ত্রীকে বোন বলায় তার স্ত্রী কি হারাম হয়ে গেছে? স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তালাক হয়ে গেছে? যদি তালাক হয়ে যায় তাহলে করণীয় কী?
উত্তর : শরিফ তার স্ত্রীকে বোন বলা ঠিক হয়নি। স্বামী স্ত্রীকে আপু বলা ইসলামি শরিয়তে মাকরুহ। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসব অপছন্দ করতেন। হাদিস শরিফে এসেছে- ‘এক ব্যক্তি নিজ স্ত্রীকে বলল, হে আমার বোন। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সে কি তোমার বোন?’ প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা অপছন্দ করেন এবং তাকে এভাবে ডাকতে নিষেধ করেন।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ২২০৪)
আরও পড়ুন : মেয়ে সন্তানের মা-বাবা জান্নাতি
ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, স্ত্রীকে বোন বলার কারণে সে স্বামীর জন্য হারাম হয়ে যায়নি। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে তালাকও হয়ে যায়নি। তবে বোন বলার কারণে দুটি গুনাহ হয়েছে- ১. স্ত্রীকে বোন বলা, যা শরীয়তে নিষিদ্ধ। ২. মিথ্যা বলা, যা হারাম কাজ। সুতরাং লোকটিকে তাওবা করে নিতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার, খন্ড: ৩, পৃষ্ঠা: ৪৭০)
বাংলাবার্তা/জেডএইচ