ছবি : বাংলাবার্তা
বাংলাদেশী আলেম শায়খ মাহমুদুল হাসান। ইউকের এসেক্স জামে মসজিদের খতিব। এক বছর পূর্বে তার কাছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন ২০ বছরের যুবক টেইলর শেল। ইসলামে দীক্ষিত হয়ে তার নাম রাখা হয় মুসা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি তার মাকে সঙ্গে নিয়ে শায়খ মাহমুদুল হাসানের কাছে আসেন। মা মিসেস সারা শেলের জীবনে এক নীরব বিপ্লব ঘটে। পঞ্চান্ন বছর বয়সী এ মা তার সন্তানের মাধ্যমে বেশ প্রভাবিত হয়েছেন।
শায়খ মাহমুদুল হাসান বলেন, টেইলর শেলের জন্ম খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারক বাবার ঘরে। পড়াশোনা করেছেন ক্যাথলিক স্কুলে। খ্রিস্টান পরিবেশে বেড়ে উঠেন। তার জীবনে ঘটে যাওয়া নানা প্রশ্নের ইসলামি সমাধানে তাকে অদ্ভুত আকর্ষণ করে ইসলামের দিকে। একত্ববাদের সুস্পষ্ট ইসলামি বিশ্লেষণ তার পছন্দ হয়- ত্রিত্ববাদের ‘একের ভেতর তিন ও তিনের ভেতর এক’-এর প্যাঁছানো থিউরির বিপরীতে।
আরও পড়ুন : আল্লাহ, মহানবী ও কুরআনকে সাক্ষী রেখে বিয়ে, অস্বীকারের বিধান
তিনি আরও বলেন, কয়েক মাসে তার মা ছেলের স্নিগ্ধ সান্নিধ্যে উৎফুল্ল হয়ে উঠে। ছেলে ইসলামে দীক্ষিত হয়ে তার জীবনে অনাবিল শান্তির পরিবর্তন আসে। ৬ সন্তানের জননী এ মা এসেক্স মসজিদের আঙিনায় এসে উপস্থিত হন। কালিমা শাহাদাত পাঠের এ আসরে এসেছেন তার অপর এক মেয়ে ও নাতনীসহ। জনাকীর্ণ এ আসরে আমি টেইলরকে বললাম, তোমার মুখেই তোমার মা কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করুন, আমরা সাক্ষি হবো। ছেলের মুখে মুখে শাহাদাত পাঠ করে আবেগের অতিশয্যে মায়ের কণ্ঠ বাকরুদ্ধ হয়ে উঠে। ছেলেও অশ্রুসজল হয়ে উঠে। একজন অপরজনকে জড়িয়ে ধরে ঈমানি আবেগে।
শায়খ মাহমুদুল হাসান নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমার মনে হলো- পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যটি আমি প্রত্যক্ষ করলাম। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) ও তাঁর মায়ের হাজার বছর আগের দৃশ্যটির যেন আমার সামনে পুনাবৃত্তি হলো এই মাত্র। সুবহানাল্লাহি ওয়া বি-হামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযিম।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ