ছবি: বাংলাবার্তা
বিয়ে করলে খাওয়াবে কী, আমাদের সমাজে বহুল চর্চিত একটি কথা। আমাদের সমাজে অনেকেই বিয়ে করতে ভয় পান- অর্থের ভয়ে। অথচ মহান আল্লাহ বলেন- বিয়ে আর্থিক স্বচ্ছলতার মাধ্যম।
মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,
إِنْ يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
‘তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে মহান আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।’ (সূরা নুর, আয়াত : ৩২)
এটা আশ্চর্যের বিষয় যে, বিয়ে করার কারণে মানুষের ওপর আর্থিক দায়িত্ব অর্পিত হয়। প্রথমে একাকী ছিল। স্ত্রী আসার পর দুইজন হয়ে গেল। সন্তান জন্ম হবার পর সে চার, ছয় বা দশজনও হতে পারে। কিন্তু যখনি বাচ্চার সংখ্যা বাড়ে তখনি তার রিজিকে মহান আল্লাহ বরকত দান করেন। যে ব্যক্তি কাল নিজের প্রয়োজন পূরণের ব্যাপারে অস্থির ছিল, সে আজ দশজন-বিশিষ্ট পরিবারের প্রয়োজন পূরণ করে চলেছে। আর মহান আল্লাহ তার রিজিকে বরকত দান করেছেন।
রিজিকও বান্দাকে তালাশ করে
মানুষ রিজিক নিয়ে পেরেশান! অনেক চিন্তিত! অথচ তার জানা নেই যে, তার জন্মের বহু পূর্বে রিজিকের ফয়সালা হয়ে গেছে। মহান সৃষ্টিকর্তা সকল সৃষ্টির রিজিকের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই পেরেশানির কিছু নেই। বান্দা যেমন রিজিকের সন্ধান করে, তার চেয়ে বেশি রিজিক বান্দাকে তালাশ করে। কারণ, প্রত্যেকের নির্ধারিত রিজিক শেষ না হওয়ার আগে তো মৃত্যু আসবে না। হাদিসে এসেছে, ‘বান্দা যেভাবে রিজিক তালাশ করে, রিজিকও বান্দাকে তালাশ করে।’
শুধু মানুষ না, সকল প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব মহান আল্লাহর। ইরশাদ হচ্ছে,
وَمَا مِنْ دَابَّةٍ فِي الْأَرْضِ إِلَّا عَلَى اللَّهِ رِزْقُهَا
‘জমিনে যত যত বিচরণশীল প্রাণী রয়েছে, সকলের রিজিকের দায়িত্ব আল্লাহর ওপর।’ (সূরা হুদ, আয়াত : ০৬)
আরও পড়ুন : সুন্নতে খতনার স্বাস্থ্যগত উপকারিতা
জাহেলি যুগে কন্যাসন্তানদের জীবিত হত্যা করা হতো। তার বড় কারণ ছিল, কন্যাসন্তান উপার্জন করতে অক্ষম। যুদ্ধে যেতে পারে না। মারামারি করতে পারে না। তাই আল্লাহ তাআলা দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে দিলেন, তোমরা তো তাদেরকে রিজিক দাও না, আমিই রিজিক দিয়ে থাকি; এমনকি তোমাদের রিজিকও তো আমিই দিয়ে থাকি। তাই তোমরা তাদেরকে হত্যা কোরো না। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, “দারিদ্র্যের ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা কোরো না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই জীবনোপকরণ দিয়ে থাকি।” (সূরা বনি ইসরাঈল, আয়াত : ৩১)
অন্য এক আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন,
نَحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَ اِیَّاهُمْ
‘আমি তোমাদেরকে ও তাদেরকে আহার দিই।’ (সূরা আনআম, আয়াত : ১৫১)
মহান আল্লাহ যেন বলছেন, হে ওইসকল লোক, যারা রিজিকের ব্যাপারে অস্থিরতায় রয়েছ, তোমাদের জানা উচিত যে, আমি তোমাদেরকে যেখান থেকে দিচ্ছি সেখান থেকেই তাদেরকেও দেবো। সুতরাং তোমরা পেরশান কেন?
বাংলাবার্তা/জেডএইচ