ছবি: বাংলাবার্তা
বিমানে, জাহাজে বা গাড়িতে নয়। পায়ে হেঁটে সৌদি আরব পৌঁছেছেন কুমিল্লার আলিফ। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তার ফেসবুক একাউন্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাঙ্গলকোট উপজেলার বটতলী ইউপির বাতাবাড়িয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. আলিফ মাহমুদ আদিব। তিনি এ বছর পবিত্র হজে অংশগ্রহণের জন্য গত বছরের ৮ জুলাই পায়ে হেঁটেই মক্কার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। আলিফের বাড়ি থেকে মক্কার দূরত্ব ৭ হাজার ৮১০ কিলোমিটারের বেশি।
আলিফ মাহমুদ এই সফরে বাংলাদেশ ছাড়াও আরও অন্তত ৬টি দেশের মাটিতে হাঁটেন। সেগুলো হলো- ভারত, পাকিস্তান, ইরান, ইরাক, কুয়েত ও সৌদি আরব।
নিজের ঐতিহাসিক হজযাত্রায় সৌদি আরব পৌঁছে আলিফ বলেন, ‘এটা আমার স্বপ্নের দেশ আমাদের প্রিয় নবীর দেশ। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি আমি আমার প্রিয় নবীর দেশে হাঁটছি এবং যখন ক্লান্ত হচ্ছি তখন মরুভূমির রোদ্রে জলা মাটিতে বসে একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। এই দেশের মাটি ও বাতাস সব কিছুর মধ্যেই শান্তি খুঁজে পাওয়া যায় যে অনুভূতি কাউকে কোনোদিন বুঝানো সম্ভব না।’
পায়ে হেঁটে হজ যাত্রা সম্পর্কে ইসলামি বিশেষজ্ঞদের মত
পায়ে হেঁটে হজ যাত্রা সম্পর্কে ইসলামি বিশেষজ্ঞগণ বলেন, যানবাহনের খরচ বহনের সক্ষমতা সত্ত্বেও পায়ে হেঁটে হজে যাওয়া সুন্নাহ সমর্থিত নয়। ইসলামে এমন অতিউৎসাহ বা বাস্তবতা বিবর্জিত অতি আবেগের কোনো মূল্য নেই। পদব্রজে হজ করার মধ্যে বিশেষ কোনো ফজিলত ও মাহাত্ম্য নেই। তারা নিজেদের দাবির পক্ষে একটি হাদিস উল্লেখ করেছেন। সেটি হলো- ‘রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জনৈক বৃদ্ধ ব্যক্তিকে তার দুই ছেলের ওপর ভর করে হেঁটে যেতে দেখে বললেন, তার কী হয়েছে? তারা বললেন, তিনি পায়ে হেঁটে হজ করার মানত করেছেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, লোকটি নিজেকে কষ্ট দিক আল্লাহ তায়ালার এর কোনো দরকার নেই। অতঃপর তিনি তাকে সওয়ার হয়ে চলার জন্য আদেশ করলেন।’ (বুখারি শরিফ)
তারা আরও বলেন, কেউ যদি বাস্তবিক অর্থেই অর্থনৈতিক সক্ষমতা না থাকার কারণে একমাত্র মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পায়ে হেঁটে হজ করে- এতে বাধা নেই।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ