ছবি: বাংলাবার্তা
শবে বরাত পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তা দেয়। পবিত্র রমজান মুমিনের ইবাদতের বসন্তকাল। মুমিন বান্দা নিজের গুনাহ থেকে পবিত্র হওয়ার অনন্য মাধ্যম পবিত্র রমজান। আর শবে বরাতেরও রয়েছে বহু ফজিলত।
এ বছর পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনগত রাতে। পবিত্র শবে বরাতের ১৫ দিন পর পবিত্র রমজান। ‘শব’ ফারসি শব্দ। এর অর্থ রাত। আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য।
শবে বরাতের রোজা কয়টি রাখতে হবে?
পবিত্র শবে বরাতের পরের দিন শাবান মাসের ১৫ তারিখ। এ দিন অনেকেই রোজা রাখেন। এ সম্পর্কে একটি বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন। প্রতি চান্দ্র মাসে তিন দিন রোজা রাখা সুন্নত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখতেন, সাহাবীগণকেও মাসে তিন দিন রোজা রাখতে বলতেন। (তিরমিজি, হাদিস: ৭৬০; ৭৬৩)
প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা সুন্নাত। এই তিন দিন মাসের শুরুতেও হতে পারে, মাঝেও হতে পারে, আবার শেষেও হতে পারে। কিন্তু কিছু কিছু হাদিসে স্পষ্ট আছে যে, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদেরকে বিশেষভাবে মাসের ১৩, ১৪, ১৫ তারিখ (যাকে আইয়ামে বীয বলা হয়) রোজা রাখতে বলেছেন। (তিরমিজি, হাদিস : ৭৬১)
আরও পড়ুন : শবে বরাতে যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন
হাফেয ইবনে হাজার (রাহ.) বলেছেন, যে তিন দিনের কথা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে গেছেন, সেই তিন দিন রোজা রাখাই সর্বোত্তম। (ফাতহুল বারী, ১৯৮১)
সে হিসেবে প্রতি মাসের আইয়ামে বীযে রোজা রাখা সুন্নত। শাবান মাসও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই শাবান মাসের আইয়ামে বীযে (১৩, ১৪, ১৫) রোজা রাখাও সুন্নত। ১৫ তারিখ আইয়ামে বীযের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কারণে ১৫ তারিখ রোজা রাখাও সুন্নত।
শবে বরাতের নামাজ ও রোজার নিয়ম
শবে বরাতের নামাজের সুর্নিদিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। বরং অন্যান্য নফল নামাজের মতোই পড়বে। অনেক বইয়ে লেখা থাকে অমুক সুরা ৩বার পড়া, আয়াতুল কুরসি পড়া- এসব মনগড়া কথা। ইসলামি শরিয়তে এর কোনো ভিত্তি নেই। ঠিক তেমনিভাবে নফল রোজাও অন্যান্য রোজার মতোই রাখবে।
মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে পবিত্র কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বাংলাবার্তা/জেডএইচ